× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

উপজেলা পরিষদ যেন গো-শালা

বাংলারজমিন

অষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, শনিবার

সংস্কার আর অবহেলায় অযত্নে পড়ে থাকা উপজেলা মিলনায়তন ভবনটির বারান্দায় দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসীর গরু রাখা হচ্ছে। এতে ভবনের সম্মুখে একাধিক গরুর বিচরণে পরিণত হয়েছে গো-শালায়। কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার নব-নির্মিত সম্প্রসারিত প্রশাসনিক ভবন নির্মাণের পর হতে পুরাতন উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের কোনো সংস্কার ও নিরাপত্তা বলয়ের ভিতর না থাকায় অফিস দপ্তরগুলো অনিশ্চয়তার মাঝে আছে। গত দুই বছর যাবৎ অফিসের ভেতরে বখাটেদের রাতেদিনে উন্মুক্তভাবে চলাচল করতে দেখা যায়। এতে প্রায়ই কোনো না কোনো চুরির ঘটনা ঘটছেই। এই পুরাতন উপজেলা কার্যালয়ে গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু দপ্তর উপজেলা কৃষি, উপজেলা মৎস্য, উপজেলা সমাজসেবা, উপজেলা মাধ্যমিক, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা, উপজেলা খাদ্য, উপজেলা যুব, উপজেলা মহিলা বিষয়ক, উপজেলা বিএডিসি, উপজেলা তথ্য অফিসের কার্যক্রম চলে। গত বেশ কিছুদিন যাবৎ বিভিন্ন দপ্তরে ছোটখাট বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার তথ্য পাওয়া যায়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, তার দোতলা অফিসের বাথরুমের নিচের পাইপ কেটে অফিসের ভেতরে ঢুকার চেষ্টা করেছে।
অফিস চলাকালীন সময় থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকার বখাটে ছেলেদের আড্ডায় আর ছেলেদের ফুটবল খেলায় সর্বক্ষণ মাতোয়ারা থাকে অফিসপল্লী।
জানা যায়, এতগুলো গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর থাকা সত্ত্বেও এখানে নেই কোনো নিরাপত্তাপ্রহরী। সন্ধ্যা হলেই এই নির্জন পরিবেশের অন্ধকারে চলতে থাকে অগণিত মানুষের আড্ডা। উপজেলার প্রধান ফটকের সামনে একটি সংস্কারবিহীন দেয়াল থাকলেও নেই কোনো নিরাপত্তাজনিত গেট। বিগত দুই বছর যাবৎ অফিসের ভেতরে বাহিরের নোংরা পরিবেশে চলছে কিছু কিছু দপ্তরের দায়সারা কার্যক্রম। পুরাতন উপজেলা পরিষদের কৃষি কার্যালয়ের কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, এসব বিষয় নিয়ে প্রায় সময় তিনি শঙ্কিত থাকেন। কারণ অফিসের ভেতরে প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রাদি সহ অনেক মূল্যবান ইলেক্ট্রনিক্স জিনিস রেখে দেন। এ বিষয়ে সাক্ষাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল আলম জানান, বিগত দিনে এ পুরাতর অফিসের কার্যালয়ে সরজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রকৌশলীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন কিন্তু তাৎক্ষণিক বদলিজনিত কারণে বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি।
তবে একাজ সম্পন্ন করতে পর্যাপ্ত বাজেট না থাকায় সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছেনা। তিনি আরো জানান, উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর