টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী, শ্বশুর-শাশুড়ি, স্ত্রীর বড়বোনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে স্বপন মিয়া (২৫) নামক এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার মহেড়া ইউনিয়নের স্বল্প মহেড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে স্বপন মিয়াকে আটক ও গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। স্বপন উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের গোড়ান গ্রামের আতোয়ার মিয়া ছেলে। আহতরা হলেন- স্বল্প মহেড়া গ্রামের মৃত হবি মিয়ার ছেলে সিরাজ মিয়া (৬০), তার স্ত্রী জবেদা বেগম (৫২), শিলা আক্তার (২০), রাজিয়া বেগম (৩০)। আহত সবাইকে প্রথমে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল ও পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছে। সকালে রিপোর্টটি লেখা পর্যন্ত আহত চারজনেরই অবস্থা সংকটাপন্ন বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে। আহত পরিবারের সদস্য সিরাজ মিয়ার বড় মেয়ে ফরিদা বেগম বলেন, গত জুলাই মাসে আমার বোন শিলাকে বিয়ে করার আগে মার্চ মাসে স্বপন আরেকটি বিয়ে করেছিল যা তার বোনকে বিয়ে করার সময় গোপন রাখা হয়।
এ নিয়ে তার বোনের সঙ্গে স্বপনের বাকবিতণ্ডা হতো। স্বপন মাদক সেবন করতো বলেও তার বোন জানতে পারে। এসব নিয়ে বাকবিতণ্ডায় ক্ষিপ্ত হয়ে স্বপন আমার বোনকে একাধিকবার মারপিট করে। এছাড়া বিয়ের পর থেকে স্বপন এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিল। গত প্রায় ২০ দিন আগে আমার বোনকে মারপিট করায় আমরা ওকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসি। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্বপন আমাদের বাড়িতে এসে সবাইকে গালিগালাজ ও এক পর্যায়ে ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে স্বপনকে আটক করে। মহেড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাদশা মিয়া বলেন, শিলার পরিবার গত বুধবার আমার কাছে এসে স্বপন মিয়ার বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতন ও যৌতুক দাবির অভিযোগ করে। আমি তাদের কোর্টে মামলা করার পরামর্শ দেই। মির্জাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. গিয়াস উদ্দিন পিপিএম বলেন, ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত স্বপনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন আছে।