কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে গুচ্ছগ্রাম সমিতির গরু মোটাতাজা করণ প্রকল্পের ঋণের টাকা বিতরণের নামে স্ট্যাম্প জাল স্বাক্ষর করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা বিআরডিবি’র পল্লী প্রগতির গ্রাম সংগঠক সাইফুর রহমান, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ও সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে উপজেলার বিআরডিবির সভাপতি, সহ-সভাপতিসহ উপকারভোগীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের জোতিন্দ্র নারায়ণ গুচ্ছ গ্রাম পুরুষ ও মহিলা দলের ঋণ প্রদানের নাম করে সুবিধাভোগীর মাঝে পুরুষ দল ১৬ জন ও মহিলা দল ১৮ জন গ্রুপ করে প্রত্যেকে ১৬ হাজার টাকা করে ৫০ টাকার স্ট্যাম্পে মাস্টার রোল তৈরি করে দু’গ্রুপে ৫,৪৪ হাজার টাকা বিতরণ দেখানো হয়। কিন্তু দু’গ্রুপের মহিলা ও পুরুষ মিলে সাতজনের নামে ভুয়া মাস্টার রোল ও জাল স্বাক্ষর করে উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তার যোগসাজশে মোট ১ লাখ ১২ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন। ভুক্তভোগী মোশারফ (৩৫), নুর ইসলাম, শফিকুল, নাছিমা ও আর্জিনা বেগম জানান, স্ট্যাম্পে ও মাস্টার রোলে আমাদের সই জাল করে আমাদের টাকা না দিয়ে অফিসাররা তুলে নিয়েছে। এমনকি আমাদের কোনো প্রকার পাস বইও দেয়নি। এ ব্যাপারে বিআরডিবির (ইউডিসি) সভাপতি মজিবর রহমান জানান, সুবিধাভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরজমিনে গিয়ে তদন্ত করে আমরা দেখতে পাই, সাতজনের নামে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে জাল স্বাক্ষর ও ভুয়া মাস্টার রোল বানিয়ে তাদের নামে ঋণ বিতরণ দেখালেও বাস্তবে তারা কোন ঋণের টাকা পায়নি। এ বিষয়ে ওই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তমূলক ব্যবস্থা নেয়াসহ তদন্ত প্রতিবেদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পে দায়িত্বে থাকা বিআরডিবির পল্লী প্রগতির গ্রাম সংগঠক সাইফুর রহমানের সঙ্গে কথা হলে জানান, বিভাগীয় ব্যবস্থা যাহা হবে তাই। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান জানান, এ বিষয়য়ে আমি অবগত হয়েছি। জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে।