× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রাঙ্গুনিয়ায় চেয়ারম্যান ও সহযোগীদের মারধরে নিহত ১

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, শনিবার

আওয়ামী লীগ মনোনীত এক ইউপি চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীদের বেধড়ক মারধরে ইউনুস মিয়া (৫৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ চেয়ারম্যানের চার সহযোগীকে আটক করেছে। গতকাল সকাল ১১টায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার হোসানাবাদ ইউনিয়নের খিলমোগল গ্রামের খামারিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জড়িত চেয়ারম্যান মির্জা সেকান্দর হোসেন ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান। রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জায়গার মালিকানা নিয়ে বিরোধের জেরে সকালে নিহত ইউনুস মিয়ার সাথে তার প্রতিবেশীদের বাক-বিতণ্ডা হয়। সেই সময় তার উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। পরবর্তীতে হোসানাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেকান্দরের নেতৃত্বে ইউনুস মিয়া, তার ছেলে ও ভাতিজাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। মারধরের ঘটনায় ইউনুস মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যান।
হামলায় আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন এবং সুস্থ আছেন। ইউনুস মিয়ার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এহসানুল হক, মো. মালেক, মমতাজ বেগম ও সায়রা খাতুন নামের চারজনকে পুলিশ আটক করেছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত মামলা করতে থানায় কেউ আসেননি বলে জানান ওসি। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও হামলার শিকার নিহত ইউনুস মিয়ার ভাতিজা ইমরান হোসেন ঘটনার বিবরণে বলেন, শুক্রবার সকালে আমার চাচা ইউনুস মিয়ার জায়গা দখলের জন্য প্রতিবেশী মহররম মিয়া, হাবিবুর রহমান ও তার ছেলে এহসানুল হক এবং আজিজুর রহমান ও তার ছেলে মো. মামুন, মনির আহামেদ ও তার ছেলে সাইমুন যান। দখল করতে গাছ কাটতে গেলে ইউনুস মিয়া বাধা দেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হলে তারা আমার চাচা ইউনুস মিয়া, তার ছেলে এবং আমাকে কাঠের বাটাম ও লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর হোসনাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেকান্দরসহ তারা আবার ফিরে আসেন। চেয়ারম্যান হাতে বন্দুক নিয়ে এসেছিলেন। চেয়ারম্যান নিজে আমার চাচা ইউনুস মিয়াকে মারতে শুরু করেন এবং অন্যদেরকেও মারার নির্দেশ দেন। দ্বিতীয় দফা হামলার এক পর্যায়ে আমার চাচা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং মারা যান। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত হোসনাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মির্জা সেকান্দর হোসেনের নাম্বারে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও প্রতিবারই তিনি কল কেটে দেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর