× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

টিম খোরশেদের সহায়তায় লেখাপড়ায় ফিরলো মেধাবী তিন শিক্ষার্থী

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, শনিবার

লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ থাকলেও টাকার অভাবে কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল আয়েশা আক্তারের। গত ২৩শে ডিসেম্বর থেকে বাবা মাসুদ রানা নিখোঁজ। মা রওশন আরা অসুস্থ থাকায় দুই বছর আগে চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। এমতাবস্থায় সংসারের হাল ধরতে আয়েশা আক্তার গার্মেন্টে চাকরি নেন। অন্যদিকে সরকারি তোলারাম কলেজে ভর্তির জন্য বিবেচিত হয়েও ৫ হাজার টাকার জন্য ভর্তি হতে পারছিলেন না দুই বোন হাবিবা ও সুমাইয়া। এ নিয়ে গত ১৪ই সেপ্টেম্বর ‘কলেজে ভর্তি না হতে পেরে গার্মেন্টসে চাকরি নিলেন আয়েশা’ এবং ১৭ই সেপ্টেম্বর ‘৬ মেয়ে হওয়ায় ছেড়ে গেছে বাবা, কলেজে ভর্তির টাকা নেই দু’বোনের’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর বিভিন্ন জায়গা থেকে হৃদয়বান ব্যক্তিরা তাদেরকে সহায়তা করতে যোগাযোগ করেন। সংবাদ দুটি চোখে পড়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের।
শুক্রবার দুপুরে কাউন্সিলর খোরশেদ তাদের তিনজনকে নিজ কার্যালয়ে ডেকে নেন। পরে ‘টিম খোরশেদ’র উদ্যোগে টাইম টু গিভ ও নূর সুফিয়া ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় তিন শিক্ষার্থীকে ১৫ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা প্রদান করেন কাউন্সিলর খোরশেদের স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনা। ভবিষ্যতে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে যে কোনো সমস্যায় তাদেরকে সহযোগিতার আশ্বাসও দেন কাউন্সিলর খোরশেদ। তিন শিক্ষার্থী ‘টিম খোরশেদ’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে জানান, এ সহায়তা তাদের লেখাপড়ার প্রতি উৎসাহ বাড়িয়ে দেবে।
আয়েশা আক্তার বলেন, আমাদের চার মাসের বাসা ভাড়া বাকি রয়েছে। তাছাড়াও করোনায় আমার পরিবারের আরও ঋণ রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে আমার কলেজে ভর্তি হওয়ার সামথ্য ছিল না। এজন্য আবারও ধার করে কলেজে ভর্তি হয়েছি। এ টাকাটা (টিম খোরশেদ থেকে পাওয়া সহায়তা) পাওয়ায় আমার জন্য ভালো হয়েছে।


দুই বোনের মধ্যে হাবিবা আক্তার বলেন, প্রতিবেশীর কাছ থেকে টাকা ধার করে আমরা দুই বোন কলেজে ভর্তি হয়েছিলাম। এখন অর্থ সহযোগিতা পাওয়ায় তা পরিশোধ করতে পারবো।
করোনাকালে নানা মানবিক কাজ করে প্রশংসিত কাউন্সিলর খোরশেদ বলেন, আমরা চাই অর্থের অভাবে দরিদ্র ঘরের সন্তানরা যেন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়। কারণ তারাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ গড়বে। তাদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য আমাদের সবার এগিয়ে আসা দরকার।
প্রসঙ্গত হাবিবা আক্তার সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিমপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ ৪.৫২ ও সুমাইয়া জিপিএ ৪.৭১ নম্বর পেয়ে এসএসসি পাশ করেন। এছাড়াও অন্য আরো দুই বোন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ালেখা করছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর