ঢাকার ধামরাইয়ে বিয়ের দাবিতে অনশনকারী প্রেমিকাকে বিয়ে করে সংসার করলেও মামলা থেকে রক্ষা পায়নি প্রেমিক। বর্তমান মেয়ের বাবার মামলায় জেলে রয়েছেন প্রেমিক। শনিবার সকালে এমন তথ্য জানিয়েছেন জেলে থাকা প্রেমিকের বাবা আবুল হোসেন ও মা মুক্তা বেগম। তারা কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাংবাদিকদের জানান, বাড়িতে উঠে আমার ছেলেকে বিয়ে করেছে মেয়েটি। এখন তার বাবা মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটাচ্ছে আমার ছেলেকে। জানা গেছে, ধামরাইয়ের সোমভাগ ইউনিয়নের ভুরবারিয়া এলাকার সুমন খান পান্নুর মেয়ে (১৪) সঙ্গে একই ইউনিয়নের কারাবিল গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে রাব্বীর (১৭) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দীর্ঘদিন সম্পর্ক চলার এক পর্যায়ে প্রেমিকা বিয়ের দাবি নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে উঠে অনশন শুরু করে। প্রথম পর্যায়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারের সমঝোতায় বিয়ের বয়স না হওয়ায় মেয়েটিকে তার বাবার কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
কিন্তু প্রেমে পাগল মেয়ে ১৫ দিন পর ফের বিয়ের দাবি নিয়ে আসে ছেলের বাড়িতে। পরে তারা বিয়েতে আবদ্ধ হন। কিন্তু বয়স কম থাকায় কাবিন রেজিস্ট্রি হয়নি। এভাবে মাসখানেক যাওয়ার পর মেয়ের বাবা কৌশলে মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে নারী নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় প্রেমিক রাব্বীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে সে জেলে রয়েছে। তবে রাব্বীর পিতা আবুল হোসেন ও মা মুক্তা বেগম বলেন, তিন মাস আমার ছেলের সঙ্গে সংসার করার পর মেয়ের বাবা মিথ্যা কথা বলে মেয়েকে বাড়ি নিয়ে তাকে আটকিয়ে একটি মিথ্যা অপহরণ মামলা দিয়ে আমার ছেলেকে জেলহাজতে দিয়েছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই। স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল ওয়াহাব জানান, বিয়ের দাবি নিয়ে পরপর দু’বার বাড়িতে উঠায় বিপদে পড়ে ছেলেটি বিয়ে করে। এখন বিয়ে করেও মামলা থেকে রক্ষা পেলো না সে।