× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মানবজমিন লাইভে ড. আসিফ নজরুল /এরকম একজন স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেন অপরিহার্য?

অনলাইন

পিয়াস সরকার
(৩ বছর আগে) সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০, রবিবার, ৮:০৪ পূর্বাহ্ন

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিষয়ে ড. আসিফ নজরুল বলেন, এরকম একটা অদ্ভুত কথাবার্তা বলা লোক, কোনো ডাক্তারি ব্যাকগ্রাউন্ড নেই, দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ করার ব্যাকগ্রাউন্ড নেই, এরকম একটা লোক অপরিহার্য কেন?

মানবজমিন লাইভ ‘না বলা কথা’র ২৬তম পর্বে অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। করোনাকালে প্রকাশিত দুর্নীতির বিষয়ে তিনি বলেন, সরকারের একটা চেষ্টা আছে এসব দুর্নীতিকে উন্মোচন করা। জবাবদিহিতার মধ্যে হাজির করা। প্রত্যাশিত মাত্রায় না হলেও যতটুকু হচ্ছে তাও সরকারের জন্য এমব্যারেসিং। বালিসকাণ্ড, পর্দাকাণ্ড এসব নানা বিষয় চলে আসছে। স্বাস্থ্য ডিজিকে পরিবর্তন করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অনেক অভিযোগের কথা শোনা গেছে। ওনাকে একটা জবাবদিহিতার মধ্যে আনা হোক।
আওয়ামী লীগ তো অনেক বড় সংগঠন। এখানে ডাক্তারি ব্যাকগ্রাউন্ডের লোকজনও তো আছেন। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক আছেন ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ, ওনার যোগ্যতা, সততা নিয়ে কখনো কেউ কিন্তু কোনো প্রশ্ন তোলেননি। আমার তো মাঝে মাঝে মনে হয় উনার মতো একজন ব্যক্তি কেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হন না।

ঢাবি অধ্যাপক ড. মোর্শেদের চাকরিচ্যুতির বিষয়ে তিনি বলেন, ইতিহাস তো কোনো অঙ্ক না। ইতিহাস তো একেকজন একেকভাবে দেখবেন। এখনো জর্জ ওয়াশিংটনের রোল নিয়ে আলোচনা হয়, গান্ধীজীকে নতুনভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে, নেলসন মেন্ডেলাকে নিয়েও প্রশ্ন আছেন ইতিহাস নিয়ে যে বিতর্ক করা হয়। ইতিহাস নিয়ে পিএইচডি করা হয় ইতিহাস পুনর্বিবেচনার জন্য। মত প্রকাশের জন্য এত বড় শাস্তি এটা একটা নজির সৃষ্টি করলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষক সরকারি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত আছেন তাদের মধ্যে ভীতি কাজ করে, কেউ যদি সামান্য প্রতিবাদ করে তবে পদ-পদবি নিয়ে সমস্যা হতে পারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের চৌর্যবৃত্তির বিষয়ে বলেন, ফার্মেসি বিভাগে ৮০ শতাংশ কপি দেখা গেল। চৌর্যবৃত্তি নিয়ে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের তেমন কোনো আগ্রহ নেই কিন্তু কে কী বলল এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে বরখাস্ত করা হলো।

ডাকসুর বিষয়ে তিনি বলেন, ডাকসুর কারণে ক্ষমাতাসীন ছাত্র সংগঠনের তাণ্ডব কিছুটা হলেও হ্রাস পেয়েছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর প্রশাসন কিংবা সরকারের খুব একটা আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। ডাকসু নির্বাচনের পর মতপ্রকাশের যতটুকু দুয়ার উন্মোচিত হয়েছিল এটাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সরকার কেউই হয়তো পছন্দ করেনি। করোনাকালে এখন নির্বাচন করা যাবে না। কিন্তু একটা ঘোষণা তো আসবে।

করোনা মোকাবিলার বিষয়ে ড. আসিফ নজরুল বলেন, আমাদের সামর্থ্যরে ঘাটতি রয়েছে। সদিচ্ছার ঘাটতিও রয়েছে। যার প্রমাণ গণস্বাস্থ্যের কীট অনুমোদন না দেয়া। প্রথমদিকে দেখলাম থার্মাল স্ক্যানার নষ্ট। করোনাকে মোকাবিলা করার মতো অর্থনৈতিক সামর্থ্য নেই। এটা তারা প্রকৃতির ওপর ছেড়ে দিয়েছে, যে যেভাবে বাঁচতে পারে পারুক। করোনা পরিস্থিতি এখন দেশের অনেক খারাপ অবস্থায় গিয়েছে। অনেক লোক আছে যারা করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন, কিন্তু করোনা আক্রান্তের তালিকায় নাম আসেনি। আমাদের গর্ব করে বলার কিছু নাই সরকার করোনা মোকাবিলায় সফল হয়েছে। গর্ব কম করাই ভালো, মানুষতো আর এতো বোকা না।
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খুনের বিষয়ে বলেন, একটা বিষয়ে বিস্ময় লেগেছে। ওসি একটা দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তাহলে চিন্তা করেন একটা ওসির যোগাযোগ আছে দূতাবাসের সঙ্গে। এই দূতাবাসের কী পরিমাণ ইনফ্লুয়েন্স রয়েছে। ধরেন ভারতে বা পাকিস্তানে একজন ওসি আর্মি অফিসারকে মেরে ফেলল। সেই ওসি বাংলাদেশি হাইকমিশনকে ফোন করলো বা আমেরিকায় একজন কৃষ্ণাঙ্গকে মেরে ফেললো। এরপর রাশিয়ান অ্যাম্বেসিতে ফোন করলো, এটা কী আপনি কল্পনা করতে পারেন? আমাদের দেশ যদি স্বাধীন, সার্বভৌম হতো তবে সঙ্গে সঙ্গে সেই অ্যাম্বেসিকে ফোন করতো, তোমাদের সঙ্গে কানেকশন কী? সেটাতো দূরের কথা সেই অ্যাম্বাসির নাম উচ্চারণ করতে পারবে কিনা সেটাও প্রশ্ন।

এদেশের মানুষ যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে। তারা বর্ডারে মানুষ মেরে ফেলছে। তিস্তা নদীর পানির বিষয়টিও আছে। তারা বাংলাদেশি মানুষের পালস বুঝতে পারে না। পৃথিবীর কোন দেশ আছে যারা বলবে আমাদের দেশের বর্ডারে মানুষকে মেরে ফেলো, কোনো সমস্যা নেই। পানি দিও না সমস্যা নেই। তুমি আমার দেশের ভিতর দিয়ে অবাধে যেতে পারবা। কিন্তু আমার দেশ দিয়ে নেপাল, ভুটানেও যেতে পারবা না? তারা খুব ভালো করেই জানে এই দেশের সরকার কীভাবে ক্ষমতায় এসেছে। এই ভুলটাতো তারা নেপালের সঙ্গে করেছে, করায় চরমভাবে টের পেয়েছে।

তিনি আগামী বছরের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের বিষয়ে বলেন, নির্বাচনের বিষয়ে আমার বক্তব্য স্পষ্ট। সরকার ২০১৩ সালে মেয়র নির্বাচন করেছিল প্রতিটিতে তারা ভয়াবহভাবে পরাজিত হয়েছিল। এরপর তারা হয়তো সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন তারা করতে দিবে না। আমি নির্বাচন নিয়ে জন আকাক্সক্ষা পূরণ হবার কোনো সম্ভাবনা দেখছি না। এখন যেদিন নির্বাচন সেদিন হবে, নাকি আগের রাতে হবেনা এটাও ভাববার বিষয়। আবার আমাদের দেশের সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কতটুকু স্বাধীন এটা নিয়েও প্রশ্ন আছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর