× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

৭ মাস পর অনুশীলনে টাইগাররা

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২১ সেপ্টেম্বর ২০২০, সোমবার

অনুশীলন নাকি উৎসব! দু’টি বললেও ভুল হবে কি? ৭ মাস পর একসঙ্গে অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন টাইগাররা। গতকাল মিরপুরে প্রথমে গা-গরম করে মাঠে নেমে পড়লেন ফুটবল খেলতে। দারুণ উৎসবেই বল পায়ে ছুটেছেন। এরপর ব্যাটিং-বোলিং অনুশীলন করে দল বেঁধে হোটেলে ফিরেছেন। এমন দৃশ্যের কতদিন দেখা মেলেনি বাংলাদেশ ক্রিকেটে। সেই ফেব্রুয়ারিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলেছে দল। তারপর মার্চেই দেশের সব ধরনের ক্রিকেট স্থগিত। এখন পর্যন্ত ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক কোনো ক্রিকেটই খেলার সুযোগ হয়নি টাইগারদের।
করোনা মহামারির কারণে চার মাস ঘরে বন্দি ছিলেন ক্রিকেটাররা। এরপর মাঠে ফিরেছিলেন ব্যক্তিগত অনুশীলনে। বিসিবির ব্যবস্থাপনায় এই অনুশীলনেও নানা বিধিনিষেধ ছিল। শুরুতে একজন করে নিজেদের ফিট রাখতে ঘাম ঝরিয়েছেন। একসঙ্গে আবারো অনুশীলন করতে পেরে আনন্দিত দলের সিনিয়র ক্রিকেটার ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ অনেকদিন পর আমরা আজ মিরপুরে দলবদ্ধ অনুশীলন শুরু করলাম, ভালো লাগছে। লকডাউনের সময়টা খুবই কঠিন ছিল, কারণ দল থেকে দূরে, অনুশীলন থেকে দূরে। যতটুকু বাসায় করতে পেরেছি, রানিং বা জিমের কাজগুলো। কিন্তু স্কিলের কাজগুলো করতে পারছিলাম না। ব্যক্তিগত অনুশীলন হয়েছে এখন আমরা দলবদ্ধ অনুশীলন শুরু করেছি।’
তবে যে সফর সামনে রেখে টাইগারদের অনুশীলন তা নিয়ে এখনো কাটেনি ধোঁয়াশা। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো সুখবর আসেনি। যদিও ২৭ জনের দল নিয়ে গতকাল থেকে প্রস্তুতি শুরু করেছে বাংলাদেশ। এখান থেকে ২১ বা ২২ জন নিয়ে যাওয়ার কথা শ্রীলঙ্কায় তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে। গতকাল বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান দৈনিক মানবজমিনকে বলেন, ‘আমরা শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড থেকে কোনো ধরনের খবর পাইনি। তারাও (এসএলসি) অপেক্ষায় আছে কারণ তাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পেলেই তারা আমাদের জানাবেন।’ সব কিছু ঠিক থাকলে ২৭শে সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ দলের শ্রীলঙ্কা যাওয়ার কথা রয়েছে।
অন্যদিকে লকডাউনে বন্দি থাকার সুফলও খুঁজে পেয়েছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তিনি বলেন, ‘লকডাউনের সময়টাতে আমার একটা উপকার হয়েছে। আমার ফিটনেসটা চেষ্টা করেছি যেন আরো ভালো করা যায়। ট্রেডমিলে অনেক সময় ব্যয় করেছি। ফিজিও ও ট্রেনারের গাইডলাইন ছিল, সপ্তাহ বা ৩-৪ দিন পর পর কথা হতো ডক কি কাজ করা যায়, জিমের প্রোগ্রামগুলো দেয়া হয়েছে। ওই জিনিসগুলো নিয়ে কাজ করেছি, ব্যান্ডের কাজগুলো করা হয়েছে। ওগুলো করে বেশ ভালো ফল পেয়েছি। এখন শুধু স্কিলের কাজগুলো করছি। কারণ দিনশেষে স্কিলটাও গুরুত্বপূর্ণ। ফিটনেস ও স্কিল দুটো মিলিয়েই ভালো পারফরম্যান্স করতে হবে।’
রিয়াদ বলেন, ‘আমরা ব্যক্তিগত অনুশীলন শুরু করেছি, ব্যাটিং করছি ৪-৫ সপ্তাহ হলো। ব্যক্তিগতভাবে অনেক কাজ করার ছিল। ব্যাটিং কোচের সঙ্গে কথা হয়েছিল, সে নির্দেশনা অনুসারে কি কি কাজ করা দরকার ছিল বোলিং মেশিনে সেসব করেছি। এখন সতীর্থদের সঙ্গে কাজ করছি, ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করা হচ্ছে। সবাই বেশ উৎফুল্ল। কারণ দিনশেষে এটা একটা দলীয় খেলা।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর