× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রামগঞ্জে প্রবাসে থেকেও স্বপদে বহাল দুই মাদ্রাসা শিক্ষক

বাংলারজমিন

রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
২২ সেপ্টেম্বর ২০২০, মঙ্গলবার

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ৩ নং ভাদুর ইউনিয়নের সিরন্দী গ্রামের খাতুনে জান্নাত মহিলা দাখিল মাদ্রাসার আরবি শিক্ষক মাওলানা আতাউর রহমান ও ইংরেজি শিক্ষক রেশমা আক্তার বিগত ২ বছর থেকে আমেরিকা ও সুইডেনে বসবাস করলেও তারা ওই মাদ্রাসায় এখনো স্বপদে বহাল রয়েছেন। মাদ্রাসা সুপার মাওলানা মুরাদ হোসেন ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোনাজের হোসেনকে ম্যানেজ করেই ওই দুই শিক্ষক স্বপদে বহাল রয়েছেন বলে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা গত রোববার সকালে মাদ্রাসার সামনে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভ শেষে এসব অভিযোগ করেছেন। মাদ্রাসার এমন অনিয়মের খবর উপজেলাব্যাপী সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯০ ইং স্থানীয় সিরন্দী গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাঁশ, কাঠ ও টিন দিয়ে খাতুনে জান্নাত মহিলা মাদ্রাসাটি স্থাপন করেন। সেই থেকে ধারদেনা করে পরিচালিত হওয়ার এক পর্যায়ে সরকারি এমপিওভুক্ত হয়। এরপর মাদ্রাসা সুপার মাওলানা মুরাদ হোসেন সুপার হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বারবার সরকারি বরাদ্দ পাওয়ার পর চরম অনিয়মের কারণে প্রতিষ্ঠানটি উন্নয়নের কোনো আলোর মুখ দেখেনি। অনিয়মের এসব ধারাবাহিকতায় মাদ্রাসা সুপার মাওলানা মুরাদ হোসেন ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোনাজের হোসেনকে ম্যানেজ করে মাদ্রাসার আরবি শিক্ষক মাওলানা আতাউর রহমান ও ইংরেজি শিক্ষক রেশমা আক্তার দীর্ঘ ২ বছর থেকে আমেরিকা ও সুইডেনে অবস্থান করেও মাদ্রাসার চাকরিতে স্বপদে বহাল রয়েছেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সিরন্দী গ্রামের ইউপি মেম্বার আবদুর রহমান দুলাল বলেন, মাদ্রাসা সুপারের কাছে বার বার প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের বিষয়ে কথা বলতে চাইলেও তিনি কোনো কথা বলতে রাজি নন। এ ছাড়াও ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে সুপার ওই দুই শিক্ষককে বিদেশে যাওয়ার জন্য ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। অন্যদিকে মাদ্রাসায় উন্নয়নের জন্য ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদের ছোট ছোট প্রকল্প দেখিয়ে সুপার মুরাদ হোসেন কাজ না করেই একাই ওই প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
খাতুনে জান্নাত মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মুরাদ হোসেন জানান, ওই দুই শিক্ষক করোনাকালীন, মাতৃত্বকালীন, মেডিকেল সহ সকল ধরনের ছুটিতে রয়েছেন।
হুট করে কোনো শিক্ষককে চারিচ্যুত করা সম্ভব নয়। গত একমাস আগে থেকে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদের বেতন-ভাতা স্থগিত করে দেয়া হয়েছে। তাছাড়া ওই দুই শিক্ষককে তড়িঘড়ি করে কারণ দর্শানোর নোটিশ করলে তারা আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে। তাই একটু ভেবেচিন্তে কাজ করতে হবে।
রামগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোনাজের হোসেন জানান, আমার জানামতে শিক্ষকরা একটানা ৩ বছর যাবৎ ছুটি নিতে পারবে। তবে ওই সময়ের ভেতরেই কর্মস্থলে যোগদান করলে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু ছুটিকালীন সময় কোনো বেতন-ভাতা নেয়া যাবে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপ্তি চাকমা জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। মাদ্রাসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর