× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নির্মাণের ১০ বছরেই ধসে গেল ব্রিজ

বাংলারজমিন

আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
২২ সেপ্টেম্বর ২০২০, মঙ্গলবার

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে নির্মাণের প্রায় ১০ বছরের মধ্যেই ধসে পড়েছে একটি ব্রিজ। এতে প্রায় ২০ গ্রামের ৩০ হাজারের মতো মানুষের যাতায়াতের সমস্যা হয়ে পড়েছে। গত রোববার বেলা ১১টার দিকে ব্রিজটি চকের পানিতে ধসে পড়ে যায়। মেঘনা নদীর পাশে থাকায় প্রবল স্রোত লক্ষ্য করা গেছে। স্রোতের ফলে ব্রিজের পিলারের নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে এটি ধসে পড়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। তবে খাগকান্দা ইউনিয়নের বাসিন্দা ও কৃষিবিদ ড. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান মোল্লা জনস্বার্থে নিজের উদ্যোগে গত কয়েক দিন আগে প্রায় অর্ধলাখ টাকা খরচ করে ব্রিজে ওঠার অংশে মাটি ভরাটসহ বিভিন্ন ধরনের নির্মাণ কাজ করেছিলেন বলে স্থানীয়রা জানান। তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। শেষ পর্যন্ত এটি ধসে পড়লো।
গতকাল সরজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ব্রিজটি ধসে পড়ায় এর অধিকাংশই পানির নিচে চলে গেছে। এতে স্থানীয় স্কুল ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা নৌকায় করে পারাপার হচ্ছেন। অনেকেই আবার কাপড় উঁঠিয়ে পারাপার হচ্ছেন। ব্রিজটি নির্মাণের সময় প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় নয়নাবাদ এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী আলী নামে এক বৃদ্ধা জানান, খাগকান্দা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বান্নাইনার চর চকে ৮ থেকে ১০ বছর আগে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে। নির্মাণের সময়ে পাইলিং করা হয়নি। এতে পানির স্রোতে পিলারের নিচের মাটি সরে গেছে। এক পর্যায়ে ব্রিজটি ধসে পড়েছে। পাইলিং করা হলে হয়তো ব্রিজটি নির্মাণের এতো কম সময়ের মধ্যে ধসে পড়তো না। একই এলাকার কাপড় ব্যবসায়ী ইসমাইল জানান, তিনি এলাকায় রিকশায় ফেরি করে কাপড় বিক্রি করে সংসার চালান। এখন ব্রিজ ধসে পড়ায় তার আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি রিকশা নিয়ে যাতায়াত করতে পারছেন না। দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানান তিনি। ইব্রাহিম নামে এক ব্যক্তি জানান, প্রতিদিন কালাপাহাড়িয়া ও খাগকান্দাসহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৩০ হাজারের মতো লোক এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করছেন। ব্রিজটি ধসে পড়ায় জনদুর্ভোগ এখন চরম আকার ধারণ করেছে। তিনি আরো বলেন, স্কুল ও মাদ্রাসাগামী শত শত শিক্ষার্থীর যাতায়াতে চরম ভোগান্তি হচ্ছে। ড. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান মোল্লা বলেন, ‘জনস্বার্থে কিছুদিন আগে আমি নিজের উদ্যোগে ব্রিজের বিভিন্ন অংশের কাজ করেছি। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। আমি দাবি জানাচ্ছি, জনদুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত সময়ের মধ্যেই যেন ব্রিজটির নির্মাণ করা হয়।’ আড়াইহাজার উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, ‘জনদুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্রিজের নির্মাণ কাজ হবে।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর