× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

হানিফের কফিন পদযাত্রা

বাংলারজমিন

বগুড়া প্রতিনিধি
২২ সেপ্টেম্বর ২০২০, মঙ্গলবার

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যার ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে। দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বহুবার পতাকা বৈঠক হলেও হত্যাকাণ্ড কমেনি। বরং দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে। বিএসএফ’র এসব হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে বাংলাদেশি এক তরুণ মো. হানিফ প্রতীকী লাশ কাঁধে নিয়ে পদযাত্রা শুরু করেছেন। সোমবার সেই পদযাত্রার ১১তম দিনে বগুড়ায় এসে পৌঁছেছেন। গত ১১ই সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয় হানিফের এই প্রতিবাদী যাত্রা। তার লক্ষ্য উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্ত পর্যন্ত যাওয়ার। বিএসএফ’র হাতে আলোচিত ফেলানী হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল ওই অনন্তপুর সীমান্তেই।
হানিফ কাঁধে প্রতীকী লাশ আর গলায় ফেস্টুন ঝুলিয়ে মহাসড়ক ধরেই হাঁটা শুরু করেছেন। তাকে দেখতে উৎসুক মানুষ পথে পথে ভিড় করেছে। হানিফ এসব উৎসুক সাধারণ মানুষের মধ্যে তার প্রতিবাদের কারণগুলো নিয়ে কথা বলেন। সাধারণ মানুষ তার কথা শুনে তারাও এই প্রতিবাদে সমর্থন দিয়েছেন। হানিফ সোমবার দুপুরে বগুড়া শহরে পৌঁছার পর মানবজমিনের সঙ্গে একান্ত কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণেই ভারত সীমান্তে বাংলাদেশিদের মারতে সাহস পায়। তিনি বলেন, যাদের গুলি করে মারা হয় তারা যদি অপরাধী হয়ে থাকে তাহলে তাদের গ্রেপ্তার করে বিচার করতে পারে কিন্তু নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করতে পারে না। আর বাংলাদেশি যাদের অপরাধী হিসাবে আখ্যা দেয়া হচ্ছে তাদের ভারতীয় সহযোগীরাও সমান অপরাধী। তাদেরকে কখনো গুলি করা হয় না। তিনি আরো বলেন, ভারতের সঙ্গে নেপাল, পাকিস্তান সীমান্ত আছে। সেখানে তারা গুলি করার সাহস পায় না। হানিফ এর আগেও সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে নরেন্দ্র মোদি বরাবর স্বারকলিপি দিয়েছিলেন বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনারের কাছে। এ সময় তাকে গুলশান থানায় ১১ঘণ্টা আটকে রাখা হয়েছিল বলে তিনি দাবি করেন। তিনি অভিযোগ করেন, ‘এই সরকারের ১২ বছরের শাসন আমলে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে এমনকি বাংলাদেশ ভূখণ্ডের অভ্যন্তরেও অনুপ্রবেশ করে প্রায় ৫০০ জন বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে বিএসএফ।’ ‘৪৮ বছরে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার বাংলাদেশি নিরীহ মানুষকে গুলি করে হত্যা করেছে ভারতীয় বাহিনী’। এ সময় তিনি অবিলম্বে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে বাংলাদেশের নাগরিকদের হত্যা বন্ধের দাবি জানান। এ ছাড়া সরকারকে বহুমাত্রিক কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানান।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর