× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ট্রফি বিতরণের আড়ালে সালাউদ্দিন শিবিরের নির্বাচনী অনুষ্ঠান!

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২২ সেপ্টেম্বর ২০২০, মঙ্গলবার

আগামী ৩রা অক্টোবর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) বহুল আলোচিত নির্বাচন। আর নির্বাচনের সপ্তাহ দু’য়েক আগে বিভিন্ন লীগের জমে থাকা ট্রফি বিতরণ করে নতুন বিতর্কের জন্ম দিলো কাজী সালাউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত পরিষদ। ২০১৫ সালে তৃতীয় বিভাগ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হওয়া দিলকুশার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান বলেন, ট্রফি বিতরণের আড়ালে এটা ভোটের ক্যাম্পেইন।
গতকাল বাফুফে ভবনে ২০১৪ সালের পর তৃতীয়, দ্বিতীয় ও সিনিয়র ডিভিশন লীগের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের ট্রফি প্রদান করে বাফুফে। দীর্ঘ ৫ বছরে জমা থাকা ২৩টি ট্রফি ক্লাব কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেন সালাউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিটি। নির্বাচনের আগে হঠাৎ এই ট্রফি বিতরণ নিয়ে প্রশ্ন জেগেছে অনেকের। অনেকেই বলছেন, নির্বাচনের আগে ক্লাবগুলোকে খুশি করতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বাফুফে। যদিও বিষয়টি পাশ কাটানোর চেষ্টা করেছেন বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পেশাদার লীগ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী।
তার বক্তব্যে ঘুরে ফিরে নির্বাচনের কথা আসলেও তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা আমাদের ধারাবাহিক কর্মকাণ্ডের একটি অংশমাত্র। আগামী ৩রা অক্টোবর বাফুফের বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার আগে ক্লাবগুলোর মাঝে ট্রফি বিতরণ করে আমাদের দায়িত্ব শেষ করেছি।’ এতো আগের ট্রফি এখন কেন বিতরণ করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘আমরা সারা বছরই ট্রফি বিতরণ করে থাকি। পেশাদার লীগ, চ্যাম্পিয়নশিপ লীগের চ্যাম্পিয়ন ট্রফি আমরা মাঠ থেকেই দিয়ে থাকি। যারা রানার্সআপ হয়েছে কিংবা তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান পেয়েছে তাদের ট্রফি দেয়া হচ্ছে।  
এদিকে ট্রফি বিতরণ অনুষ্ঠান বন্ধ করতে আগেই নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছিলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রার্থী শেখ মোহাম্মদ আসলাম। তার সেই চিঠি আমলে না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে আসলাম বলেন, নির্বাচনের সপ্তাহ দুয়েক আগে এই অনুষ্ঠান ক্লাবগুলোকে খুশি করার জন্যই করা হয়েছে। আমি নির্বাচন কমিশনে অনুরোধ করেছিলাম।
কিন্তু তারা আমার চিঠি আমলে নেয়নি। এতেই প্রমাণ হয় এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে ৩রা অক্টোবরের নির্বাচন কেমন হবে?
২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল- এই ৫ বছরে দুটি করে লীগ হয়েছে তৃতীয়, দ্বিতীয় ও সিনিয়র ডিভিশনের। ৬টি ক্লাবকে চ্যাম্পিয়ন ও ৬টি ক্লাবকে রানার্সআপ ট্রফি প্রদান করা হয়েছে। সিনিয়র ডিভিশন লীগে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন স্বাধীনতা ক্রীড়া চক্র, রানার্সআপ ওয়ারী ক্লাব ও ২০১৮-১৯ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন কারওয়ান বাজার প্রগতি সংঘ ও ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাব। দ্বিতীয় বিভাগ লীগে ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন হয় নবাবপুর ক্রীড়া চক্র ও রানার্সআপ কসাইটুলি সমাজ কল্যাণ পরিষদ, ২০১৮-১৯ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন মুগদা সমাজকল্যাণ ও ক্রীড়া সংঘ এবং রানার্সআপ ইস্ট অ্যান্ড ক্লাব। তৃতীয় বিভাগ লীগে ২০১৫ সালে চ্যাম্পিয়ন দিলকুশা স্পোর্টিং ক্লাব এবং রানার্সআপ বিকেএসপি, ২০১৮ সালে চ্যাম্পিয়ন আরামবাগ ফুটবল একাডেমি এবং রানার্সআপ কদমতলা সংসদ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর