পরাজিত হল দুর্নিবার প্ৰেম। আইনের রক্তচক্ষুর শাসনে প্রেমকে চলে যেতে হল পেছনের সারিতে। হাবড়া আদালতে ১৭ বছরের কিশোরটি যখন তার প্রেমকাহিনী উন্মোচন করছিলো, তখন আদালতকক্ষে অনেকেই নিজেদের চোখের জল সামলাতে পারেনি। কিশোর কিংবা কিশোরীর নামের উল্লেখ এই প্রতিবেদনে থাকবে না, শুধু আইনের শাসন আছে বলে নয়। উইলিয়াম শেক্সপীয়ার তো সেই কবেই বলে গেছেন, নামে কিবা আসে যায়। প্রেমের এই অমোঘ কাহিনীতে নাম ধাম গোত্রের কি বা প্রয়োজন? লকডাউন শুরু হওয়ার আগের ঘটনা। উত্তর চব্বিশ পরগনার ঘোজাডাঙায় দালালদের হাতে কিছু টাকা গুঁজে দিয়ে খুলনায় এক আত্মীয়’র বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল সেলাইয়ের কাজ করা কিশোরটি। ১৭ বছরের কিশোরটির সঙ্গে পরিচয় হয় খুলনার ওই গ্রামেরই এক সপ্তদশীর।
প্ৰেম দেশ কালের গণ্ডী আর কবে মেনেছে? ভারতীয় সপ্তদশের সঙ্গে গভীর প্ৰেম হয় বাংলাদেশি সপ্তদশীর। একটি মন্দিরে দেবতাকে সাক্ষী করে বিয়েও করে তারা। এরপরই করোনার থাবা। স্বাভাবিক জীবন ব্যহত। লকডাউন একটু শিথিল হতেই কিশোরটি ঘোজাডাঙার দালালদের মাধ্যমে সদ্য পরিণীতা বৌয়ের হাত ধরে চলে আসে হাবড়া শহরে। সংসার পাতে তারা। কিন্তু সতেরো বছরের কিশোরীটিকে দেখে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। তারা হাবড়া থানার আই সি গৌতম মিত্রকে খবর দেন। প্রেমের স্বর্গরাজ্যে আইন নামক দানবের আবির্ভাব ঘটে। নাবালিকাকে ওপার বাংলা থেকে ফুঁসলে আনার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় কিশোরটিকে। কিশোরীর জায়গা হয় চাইল্ড ওয়েলফেয়ার এর চাইল্ড লাইনে। এভাবেই প্রেমের সমাধি ঘটে আইনের নিগড়ে।
।