× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিবিসির রিপোর্ট /পরাজিত হলে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরে রাজি নন ট্রাম্প

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২০, বৃহস্পতিবার, ১০:৩১ পূর্বাহ্ন

নভেম্বরের নির্বাচনে পরাজিত হলে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে রাজি নন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এমনই ইঙ্গিত দিয়ে বুধবার সাংবাদিকদের কাছে তিনি বক্তব্য রেখেছেন। এ খবর দিয়ে অনলাইন বিবিসি লিখেছে, পরাজিত হলে ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তরের (পিসফুল ট্রান্সফার) প্রতিশ্রুতি প্রত্যাখ্যান করেছেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, আমরা দেখবো আসলে কি ঘটে, এটা আপনারা জানেন। তিনি মনে করেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে। এ সময় তিনি আবারো পোস্টাল মাধ্যমে ভোট নেয়ার ওপর সংশয় প্রকাশ করেন। উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাস থেকে মার্কিনিদের নিরাপদ রাখার জন্য অনেক রাজ্যকেই মেইল-ইন ভোটিংয়ের জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে।
বুধবার রাতে একজন সাংবাদিক ট্রাম্পের কাছে জানতে চান, তিনি ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেনের সঙ্গে লড়াইয়ে বিজয়ী হলে, হেরে গেলে অথবা ড্র হলে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তরে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কিনা। এর জবাবে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, আমি তো অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে ব্যালটের বিষয়ে অভিযোগ করে আসছি।
দ্য ব্যালটস আর এ ডিজঅ্যাস্টারÑ অর্থাৎ ব্যালট হলো একটি বিপর্যয়। এ সময়ে ওই সাংবাদিক পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে মারেন। বলেন, লোকজন তো ‘রায়ট’ করছে। তার কথার মধ্যেই ঢুকে পড়েন ট্রাম্প। তিনি বলেন, আপনাকে শান্তিপূর্ণ হতে হবে- কোন ট্রান্সফার হবে না। খোলামেলা বলছি, এই ধারা অব্যাহত থাকবে। অব্যাহত থাকবে বলতে তিনি আসলে ক্ষমতায় অব্যাহত থাকাকে বুঝিয়েছেন। সহজ করে বললে এর অর্থ দাঁড়ায় তিনি ক্ষমতা ছেড়ে দিতে রাজি নন। এর আগে ২০১৬ সালেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেট দলের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে নির্বাচনের ফল মেনে নিয়ে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। তার এ মানসিকতাকে গণতন্ত্রের প্রতি হামলা বলে আখ্যায়িত করেছিলেন হিলারি। অবশেষে নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হন। যদিও হিলারি ক্লিনটন তার চেয়ে ৩০ লাখ ভোট বেশি পেয়েছিলেন। এই ভোট নিয়ে এখনও প্রশ্ন আছে ট্রাম্পের।
গত মাসে এবারের নির্বাচনে যেকোনো অবস্থায় পরাজয় মেনে না নিতে জো বাইডেনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন হিলারি ক্লিনটন। একটি দৃশ্যপট তুলে ধরেছেন তিনি। বলেছেন, নির্বাচনের পর রিপাবলিকানরা ‘অনুপস্থিত ব্যালটি’ নিয়ে সবকিছু সরগরম করে তোলার চেষ্টা করতে পারে। একই সঙ্গে তারা এই ফলকে চ্যালেঞ্জ করতে আইনজীবীদের আশ্রয় নিতে পারে। তবে রক্ষণশীলরা এরই মধ্যে নির্বাচনে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য জো বাইডেনকে অভিযুক্ত করেছে। আগস্টে জো বাইডেন বলেছিলেন, এবার যদি ডনাল্ড ট্রাম্প পুনর্নির্বাচিত হন তাহলে কি যুক্তরাষ্ট্রে কম সহিংসতা হবে বলে কেউ বিশ্বাস করেন? তার এ কথা নিয়ে রাজনীতি করছে রিপাবলিকানরা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর