× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মোদির বিদেশনীতিকে কাঠগড়ায় তুললেন রাহুল

অনলাইন

নিজস্ব সংবাদদাতা
(৩ বছর আগে) সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২০, বৃহস্পতিবার, ১২:০৮ অপরাহ্ন

চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বর্তমানে তলানিতে৷ বাংলাদেশের সঙ্গেও ভারতের সম্পর্কের অবনতি হওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিদেশনীতিকেই দায়ী করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সম্প্রতি করোনাভাইরাস মোকাবিলা, বেহাল অর্থনীতি সামলানো,  বেকারত্ব , চীনের সঙ্গে সংঘাতের মতো এমন সব প্রশ্নে রাশিয়ান সংবাদ মাধ্যম স্পুটনিককে মোদি সরকারকে আক্রমণের নিশানা করেছেন রাহুল। পাশাপাশি শাসক দলের বিদেশনীতিকেও তোপ দেগেছেন তিনি। নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে রাহুল গান্ধী বলেন, ' আশপাশে কোনও বন্ধু, পড়শী নেই, এমনভাবে থাকাটা বিপজ্জনক। কংগ্রেস দশকের পর দশক ধরে যে সম্পর্কের বন্ধন তৈরি করেছিল, তাকে লালন পালন করেছিল, মোদি তাকে ধ্বংস করেছেন।  রাহুল টুইটে লেখেন, ‘মোদি সরকারের একের পর এক অবিবেচক, অনাবশ্যক সিদ্ধান্তের ফলে ভুগছে দেশ ৷ তার মধ্যে একটি সরকারি সম্পত্তির বেসরকারিকরণ ৷ দেশের যুবসমাজ চাকরি চাইছে, তখন তাদের কর্মসংস্থানের জমা পুঁজি শেষ করে একের পর এক PSUs-র থেকে নিজেদের অংশ বিক্রি করে দিচ্ছে মোদি সরকার৷ এতে কে লাভবান হচ্ছে? শুধুমাত্র হাতে গোনা কয়েকটি লোক, যারা মোদিজির ‘খাস’ ৷ এই সিদ্ধান্তে লাভবান হচ্ছেন শুধুমাত্র মোদিজির কিছু ‘মিত্রোঁ’৷  গত কয়েক মাসে চীনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাত চলছে ভারতের। সেই আবহে চীন বাংলাদেশের কাছাকাছি আসা ভারতের কাছে উদ্বেগেরই বিষয় বটে। ১৯৭১ সাল থেকে ভারত-বাংলাদেশ একে  ওপরের সঙ্গে নিবিড় সুরক্ষা এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক লালন করে আসছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতায় নয়াদিল্লির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। কিন্তু মোদি সরকারের আমলে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ হওয়ার পর বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক অম্ল-মধুর হতে শুরু করে।
ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় সংসদ দ্বারা অনুমোদিত আইন (সিএএ), বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে অমুসলিম অবৈধ অভিবাসীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার অনুমতি দেয়। একটি সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলতেও শোনা যায়, নতুন করে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের পেছনে কি যুক্তি খাড়া করা হয়েছে তা তাঁর বোধগম্য হচ্ছে না। যদিও এটিকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে এড়িয়ে যান হাসিনা।   ভারত সরকার তার পক্ষ থেকে একাধিকবার সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে, আইনটি কোনও ধর্মীয়  বিশ্বাসের কোনও ভারতীয় নাগরিককে প্রভাবিত করে না, এটি কারও নাগরিকত্ব হরণ করার ইচ্ছা পোষণ করে না।  বরং প্রতিবেশী দেশ থেকে আগত অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেয়।  যদিও তা মানতে রাজি নন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী।  তাঁর মতে , প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হলে শত্রুরা আরো বেশি সুযোগ নেবে । যা দেশের সুরক্ষার জন্য চিন্তার বিষয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর