× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাবা-মা বেশি ভালোবাসায় ছোট বোনকে হত্যা করে সজিব

অনলাইন

অনলাইন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২০, বৃহস্পতিবার, ১:২৯ পূর্বাহ্ন

রাজধানীতে আলোচিত শিশু মিম (৪) হত্যায় জড়িত নিহতের বড় ভাই আল-আমিন সজিবকে (১৪) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। বুধবার রাত ১০ টার দিকে কড়াইল বস্তি থেকে সজিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সজিব হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। তার ভাষ্যমতে- বাবা-মা তার বোনকে বেশি ভালোবাসতো। তাই এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে ছোট বোন মিমকে হত্যা করে সে।
র‍্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল শাফী উল্লাহ বুলবুল জানান, গত ২৩শে সেপ্টেম্বর সকাল ৮টায় কড়াইল বস্তির জামাইবাজার এলাকার মো. লিটন মিয়ার (৩৯) মেয়ে মিমকে গলা টিপে হত্যা করা হয়। লিটন মিয়া বনানী এলকায় পেয়ারা ও আমড়া বিক্রি করেন এবং তার স্ত্রী রুপসানা গৃহকর্মীর কাজ করেন। তাদের দুই সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে সজিব এবং ছোট মেয়ে মিম।
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে লিটন মিয়া বলেন,  প্রতিদিনের মতো সেদিন সকালে তিনি ও তার স্ত্রী কাজের জন্য বাইরে বের হন। পরে বাসায় ফিরে মেয়েকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তারা।
কোথাও মেয়েকে না পেয়ে স্থানীয় আল-মদিনা মসজিদের মাইকে মিমকে খুঁজে না পাওয়ার কথা ঘোষণা দেয়া হয়। সকাল ১০টার দিকে বাসা থেকে কিছুটা দূরে একটি গোসলখানায় মিমের মরদেহ উদ্ধার হয়।
হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে র‍্যাব ১০ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেপ্তার করে মিমেরই বড় ভাই সজীবকে। সজীব স্থানীয় আইডিয়াল স্কুলের ৫ম শ্রেণিতে পড়ে। জিজ্ঞাসাবাদে সজিব জানায়, ছোট বোন মিম জন্মের পর থেকে তার প্রতি বাবা-মায়ের ভালোবাসা কমতে থাকে। যত দিন যায় বাবা-মা তার প্রতি উদাসীন হয়ে পড়েন এবং সব ভালোবাসা মিমের দিকে চলে যায়। তার ওপর কারণে-অকারণে চলে বাবার নির্দয় প্রহার। যার দরুণ ছোট বোনের প্রতি তার ক্ষোভ জন্মাতে থাকে এবং সব কিছুর জন্য তাকে দায়ী মনে করে সজিব। সজীবের আরও অভিযোগ, প্রতিদিন বাসায় ফিরে বাবা মিমকে কাছে ডেকে নিতো এবং আদর করতো। বাইরে থেকে কিছু আনলে তাকে খেতে দিতো। বাবা-মা দুজনই তার ছোট বোনের সব আবদার পূরণ করলেও তার বেলায় বিপরীত ঘটতো। তাই সে ছোট বোন মিমকে বাবা-মায়ের চোখের আড়াল করার জন্য বিভিন্ন ফন্দি আটতে থাকে যাতে করে সে আগের মতো আদর, ভালোবাসা পেতে পারে। এর জন্য সে সুযোগের অপেক্ষা করতে থাকে।
২৩শে সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে পার্শ্ববর্তী মাদরাসা থেকে পড়া শেষে বাসায় ফেরার সময় সে তার বাবাকে ঘরের বাইরে যেতে দেখে এবং ঘরে ফিরে ছোটবোন মিমকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। ঘরে বাবা-মা কেউ না থাকায় মোক্ষম সুযোগ মনে করে সে ঘুমন্ত ছোট বোনকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং বিছানার নিচে লুকিয়ে ফেলে। পরে তার বাবা বাসায় ফিরে মেয়েকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে এবং বাসার বাইরে খুঁজতে যায়। এই সুযোগে সজিব মিমের লাশ পাশের গোসলখানায় রেখে আসে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর