× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

না ফেরার দেশে ডিন জোন্স

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, বৃহস্পতিবার

হৃদযন্ত্রের ক্রীড়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটার ডিন জোন্স। তার বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর। চলমান ১৩তম আইপিএলের ধারাভাষ্য দিতে মুম্বইয়ের একটি হোটেলে অবস্থান করছিলেন ডিন জোন্স। আজ সকালেও সহকর্মী ব্রেট লি ও নিখিল চোপড়ার সঙ্গে নাস্তা করেন তিনি। কে জানতো, এটাই হবে তার জীবনের শেষ খাবার! হোটেল লবিতে অবস্থানের সময় হঠাৎ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায় জোন্সের। হাসপাতালে নেয়ার আগেই মারা যান তিনি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় নাস্তা শেষে আইপিএলের আজকের ম্যাচের ব্রিফিং সেশনে অংশ নিয়েছিলেন জোন্স। এরপর দক্ষিণ মুম্বাইয়ের যে হোটেলে তিনি উঠেছিলেন, সেখানে ব্রেট লিসহ কয়েকজন সহকর্মীর সঙ্গে করিডোরে ব্যাট-বল নিয়ে মেতে উঠেন জোন্স। খেলতে খেলতে হঠাৎ মেঝেতে পড়ে যান তিনি।

এরপর জোন্সকে দ্রুত হরকিষানদাস হাসপাতালে নিয়ে যান ব্রেট লি। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছেন জোন্স।

আইপিএল ব্রডকাস্টার স্টার ইন্ডিয়া এক বিবৃতিতে জানায়, `অতীব দুঃখের সঙ্গে আমরা জানাচ্ছি যে মিস্টার জোন্স হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আমাদের ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছেন না ফেরার দেশে। আমরা মিস্টার জোন্সের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি এবং কঠিন এই সময়ে তাদের পাশে থাকছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আমরা অস্ট্রেলিয়া হাই কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।’

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৫২ টেস্টে ১১ সেঞ্চুরিতে ৪৬.৫৫ গড়ে ৩৬৪১ রান করেন জোন্স। ওয়ানডেতে অজিদের হয়ে ১৬৪ ম্যাচ খেলেন তিনি। ৭ সেঞ্চুরিতে ৪৪.৬১ গড়ে তার সংগ্রহ ৬০৬৮ রান। ১৯৮৭ সালে ভারতের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন জোন্স। ১৯৮৪ সালে অভিষেকের পর ১৯৯৪ সালে ক্যারিয়ারের সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন এই ব্যাটসম্যান। ক্রিকেট ছাড়ার পর ধারাভাষ্যকার হিসেবে আলাদা সুনাম কুড়ান ডিন জোন্স। এছাড়া কোচিংও করিয়েছেন বিভিন্ন দলে।

২০১২ বিপিএলে চিটাগং কিংসের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর ছিলেন ডিন জোন্স। ২০১৯ সালে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের ‘হল অব ফেমে’ স্থান পেয়েছিলেন এই ক্রিকেটার।

 

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর