× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কুকুরের খামার গড়ে লাখ লাখ টাকা আয়

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, শুক্রবার

খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার আমভিটা এলাকায় একা থাকেন খামারি মো. সাদিকুর রহমান গালিব। তার ছয় একর জমির বাড়িতে কোনো সীমানা প্রাচীর নেই। এ কারণে প্রতিনিয়ত চোরের উপদ্রব ছিল। নিজের ৯টি পুকুরের মাছ, বাগানের সবজি ও ফসল আর অন্যান্য গাছপালা নিরাপদ রাখতে কুকুর পালন শুরু করেন তিনি। ধীরে ধীরে তা রূপ নিয়েছে খামারে। এখান থেকে তার আয় এখন লাখ লাখ টাকা!
খামারে পাঁচ প্রজাতির ২৭টি কুকুর রয়েছে। এর মধ্যে কুকুর ছানা ৭টি। পাঁচটি মেয়েসহ জার্মান শেফার্ড প্রজাতির কুকুর ১৩টি।
এর মধ্যে ৩টি ছানা। রট ওয়াইলার জাতের ২টি মেয়ে কুকুরসহ ৫টি কুকুর রয়েছে। এর মধ্যে ৪টি ছানা। পিটকুল টেরিয়ান প্রজাতির কুকুর ১টি মেয়েসহ ৩টি। লাসা আপসোর (তিব্বত) জাতের কুকুর ১টি মেয়েসহ ৩টি এবং স্পিড (জার্মানি) ১টি মেয়ে কুকুরসহ ৩টি। সাদিকুর রহমান গালিব শুরুতে দেশি কুকুরই রাখতেন। ২০১৫ সাল থেকে বিদেশি জাতের কুকুর রাখার পর খামারের চিত্র ইতিবাচকভাবে বদলে যায়। বিদেশি জাতের কুকুর ছানার ক্রেতা বেশি। মজার ব্যাপার হলো, এগুলো মায়ের গর্ভে থাকতেই বিক্রি হয়ে যায়! টাকা আগাম দিয়ে যায় আগ্রহীরা। ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর এসে সংগ্রহ করেন। এ পর্যন্ত ৮০টি কুকুর ছানা বিক্রি করে পেয়েছেন ১২ লাখ টাকা।
গালিব জানান, কুকুর পালনে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে। প্রতিদিন দু’বেলা মুরগির গোশ্‌ত দিয়ে খিচুড়ি রান্না করে খাওয়ানো হয়। মাঝে মধ্যে থাকে গরু ও খাসির গোশত। স্বাস্থ্য পরিচর্যার দিকে যথাযথভাবে খেয়াল রেখে নিয়ম করে কৃমিনাশক ট্যাবলেট ও প্রতি মাসে ভ্যাকসিন দেয়া হয়। খামারি গালিব আরো বলেন, ‘কুকুরের খামারে বেশি খরচ নেই, কিন্তু লাভজনক। বেকার তরুণরা চাইলে এ ধরনের খামার করতে পারেন। এজন্য স্থান, আগ্রহ, যথাযথ সময় দেয়া ও যত্ন নেয়া প্রয়োজন।’


অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর