× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘গান্ধী-মুজিব ইনস্টিটিউশন’ করার প্রস্তাব সালমান এফ রহমানের

শেষের পাতা

দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধি
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, শুক্রবার

অহিংস আন্দোলনের পুরোধা মহাত্মা গান্ধী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ‘গান্ধী-মুজিব ইনস্টিটিউশন অব টেকনোলজি (জিএমআইটি)’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান করার প্রস্তাব দিয়েছেন ঢাকা-১ আসনের সংসদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতি বিজড়িত দোহার উপজেলার মধুরচর গ্রামে ‘গান্ধীজি আশ্রম’ পরিদর্শনে আসা বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশের নিকট এ বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা দেন তিনি।

বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ দোহারের মধুরচর এলে সালমান এফ রহমানের পক্ষে তার প্রতিনিধি হিসেবে দোহার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন ‘গান্ধী-মুজিব ইনস্টিটিউশন অব টেকনোলজি’ নামে প্রস্তাবিত এই প্রতিষ্ঠানের একটি পরিকল্পনা ফাইল ভারতীয় হাইকমিশনারের কাছে হস্তান্তর করেন। যেখানে ৮০ একর জমির ওপরে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫০ কোটি টাকা। এ সময় সালমান এফ রহমানের পক্ষ থেকে রীভা গাঙ্গুলি দাশের হাতে শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন আলমগীর হোসেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ভারতীয় হাইকমিশনারের আগমন উপলক্ষে দোহারের মধুরচর গান্ধীজি আশ্রম ও আশপাশের এলাকা সাজানো হয় বর্ণিল সাজে। নিরাপত্তা রক্ষায় মোতায়েন করা হয় বিপুলসংখ্যক পুলিশ। তাদের আগমনে দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত হিসেবে থাকা স্থানটি অনেকটা প্রাণ ফিরে পায় নতুনভাবে।
গান্ধীজি আশ্রম প্রাঙ্গণে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো সুদৃঢ় হবে। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অনেক পুরনো।
ভারত সরকার সবসময় আমাদের পাশে আছে এবং থাকবে।

ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ বলেন, ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক একটি ঐতিহাসিক অবস্থানে রয়েছে। এ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সবসময় অটুট থাকবে। মহাত্মা গান্ধী দুই দেশকে একই সুতোয় বেঁধে রাখতেন। সেই সম্পর্কটা আমরাও রাখতে চাই।

উল্লেখ্য যে, পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী ড. প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষের আমন্ত্রণে মহাত্মা গান্ধী দোহারের এই আশ্রমে দুইবার এসেছিলেন। প্রথম আসেন ১৯৩৭ সালে। তখন প্রফুল্ল ঘোষের দোহারের বাড়িতে সাতদিন অবস্থান করেছিলেন তিনি। এরপর ১৯৪৩ সালে এসে এ স্থানটিতে অন্তত দুই সপ্তাহ অবস্থান করেন মহাত্মা গান্ধী।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর