পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনের উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুজ্জামান বিশ্বাসের নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাঙচুর, ফাঁকা গুলি বর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ঈশ্বরদী থানায় দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে ঈশ্বরদী থানায় দুইটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় ৫৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত প্রায় ৪৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলা নম্বর ৩৯ ও ৪০। তবে এই মামলায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের আজিজুল তলা এলাকায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় মুরাদ মালিথা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করেন।
অন্যদিকে সলিমপুর ইউনিয়নের মানিকনগর পূর্বপাড়া গ্রামে নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় আমজাদ হোসেন অবুঝ নামে এক যুবক বাদী হয়ে ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১৫-২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে বিএনপি’র ধানের শীষের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব হামলা ও মামলা দায়েরের ঘটনা ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করে বলেন, আতঙ্ক সৃষ্টি করে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করছে আওয়ামী লীগ। মিথ্যা মামলা করে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গেল বুধবার রাত ১২টার দিকে কার্যালয় দু’টি জনশূন্য ছিল। এ সময় মোটরসাইকেলে করে কয়েকজন দুর্বৃত্ত কার্যালয়ে যায়। তারা ফাঁকা গুলি ছুড়তে থাকলে কার্যালয়ের আশপাশে থাকা সাধারণ মানুষ উদ্বিগ্ন হয়ে ছোটাছুটি শুরু করেন। পরে তারা কার্যালয়ের চেয়ার- টেবিল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে চলে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। রাত ৩টার দিকে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এলাকা প্রদক্ষিণ করেন। পরে পুলিশ গেলে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত হয়।