তানজিমুল ইসলাম রিয়ন। এক প্রতারকের নাম। ২২ বছর বয়সী এই রিয়ন তরুণীদের প্রেমের ফাঁদে আটকে অশ্লীল ভিডিও এবং স্থির চিত্র ধারণ করাই তার কাজ। ভিডিও ধারণ শেষ হলেই ওই তরুণীর সঙ্গে আর সম্পর্ক রাখে না। ধারণ করা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে অর্থ এবং স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নেয় এই প্রতারক। সাম্প্রতি তার বিরুদ্ধে এক তরুণীর মা সাইবার ক্রাইমের অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বগুড়া গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার ইউনিটের একটি দল গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার চৌধুরী পাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় তার কাছে থাকা একটি আইফোন উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে একাধিক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছে। এসব মেয়ের মধ্যে ২০ জনের অধিক মেয়ের শরীরের বিভিন্ন অংশের অশ্লিল ছবি এবং ভিডিও তার মেসেঞ্জারে পাওয়া যায়। তাদের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলার সময় স্ক্রিন রেকোর্ডারের মাধ্যমে এসব স্থির এবং ভিডিও চিত্র ধারণ করেছে সে। এসব ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করার হুমকি দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা এবং স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নেয় এই প্রতারক। প্রতারক তানজিমুল ইসলাম নাওগাঁ সদর উপজেলার চকদেবপাড়া গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে। সে দুপচাঁচিয়ার কামরুজ্জামন ডিগ্রি কলেজের বিবিএস ১ম বর্ষের ছাত্র।
বগুড়া গোয়েন্দা পুলিশের পরির্দশক এমরান মাহমুদ তুহিন বলেন, প্রতারক তানজিমুল ইসলাম রিয়ন দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে। তার পর ফুসলিয়ে সেসব মেয়ের অশ্লীল ভিডিও এবং ছবি ধারণ করে। তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া গেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে সাইবার অপরাধ মামলা দায়ের হবে। মামলার প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।