× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ডিমলায় পানিবন্দি ৬ হাজার পরিবার

বাংলারজমিন

ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, রবিবার

নীলফামারীর ডিমলায় গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ৭টি ইউনিয়নে অসময়ে আশ্বিনী বন্যা দেখা দিয়েছে। গত বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত তিস্তার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও শনিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত তিস্তা নদীর পানি কমে তা বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে অতি বৃষ্টির কারণে তিস্তা নদী বেষ্টিত খগাখড়িবাড়ী, পূর্বছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশাচাপানী, ঝুনাগাছচাপনী, পশ্চিম ছাতনাই ও পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের বসতবাড়ি ও আবাদি জমি তলিয়ে গিয়ে বন্যা দেখা দিয়েছে। এসব এলাকায় সরকারি হিসাব অনুযায়ী ২০টি গ্রামের ৫ হাজার ৯শ’টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অনেকে বাড়িতে পানি ওঠায় বসতঘর অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ডিমলা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা

মো. মেজবাহুর রহমান মানিক জানান, ইতিমধ্যে পানিবন্দি পরিবারগুলোর মাঝে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৪৭ দশমিক ৩শ’ টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। এবং আরো ৫০ টন চাল ও ৫শ’ প্যাকেট শুকনো খাবারের বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা বন্যাদুর্গতদের মাঝে পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হবে।
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায় বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা দেখা দেয়ায় তিস্তা নদী বেষ্টিত  কিছু এলাকা বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে বন্যা এলাকা পরিদর্শন করে পানিবন্দি পরিবারগুলোর মাঝে সরকারের দেয়া বরাদ্দকৃত ত্রাণ বিতরণসহ সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, অতিবৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও শনিবার সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করে।
শনিবার বিকাল পর্যন্ত তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার (৫২ দশমিক ৫০) ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছি এবং ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজের সবক’টি জলকপাট (৪৪) খুলে রাখা হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর