× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মা’কে পিটিয়ে হত্যার পর লাশে আগুন দেয় ছেলে

বাংলারজমিন

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, রবিবার

গর্ভধারিণী মা’কে পিটিয়ে হত্যার পর তার মরদেহ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দেয়ার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে আকাশ পাণ্ডে। শুক্রবার গোপালগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. হুমায়ুন কবিরের আদালতে এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে আকাশ। শুক্রবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তার আকাশ পাণ্ডে উপজেলার রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের কালিকাবাড়ী গ্রামের মনোরঞ্জন পাণ্ডের ছেলে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন জানান, গত ২৭শে জুন রাতে মানসিক রোগী হাসি পাণ্ডের কাছে খাবার চান ছেলে আকাশ। এ সময় হাসি পাণ্ডে খাবার ফেলে দিয়ে ছেলেকে মারতে গেলে আকাশ লাঠি দিয়ে তার মায়ের মাথায় আঘাত করে। এতে হাসি পাণ্ডে ঘটনাস্থলেই মারা গেলে আকাশ একটি নৌকায় করে লাশ বাড়ি থেকে ৪০০ ফুট দূরে নিয়ে যায়। পরে সেখানে অন্যের শুকাতে দেয়া কাঠ দিয়ে লাশে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
এ ঘটনার পর আকাশ তার মা’কে বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজি করে এবং পরে তার বাবাকে দিয়ে কোটালীপাড়া থানায় নানা জুড়ান বাড়ৈসহ ৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করায়। এতে নিহত হাসি পাণ্ডের বাবা জুড়ান বাড়ৈ ক্ষুব্ধ হয়ে যৌতুকের জন্য মেয়েকে মারপিট করে হত্যার অভিযোগ এনে জামাই মনোরঞ্জন পাণ্ডেসহ ৫ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার রাতে নিহত হাসি পাণ্ডের বড় ছেলে ও কোটালীপাড়ার তালিমপুর তেলীহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আকাশ পাণ্ডেকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় লাশ পোড়ানোর কাজে ব্যবহৃত কেরোসিনের বোতল উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার আকাশ পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে নিজের মা’কে হত্যার কথা ও লাশ পুড়িয়ে গুম করার কথা স্বীকার করেছে। আকাশকে আদালতের মাধ্যমে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর