× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কলকাতা  কথকতা /গরু পাচারকারীদের  কিং পিন এর তথ্য উদ্ধার হতেই যেন চিচিং ফাঁক.... 

কলকাতা কথকতা

বিশেষ সংবাদদাতা, কলকাতা  
(৩ বছর আগে) সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০, রবিবার, ৯:৫৬ পূর্বাহ্ন

সিবিআই গরু পাচারকারীদের কিং পিন এর হদিস পেতেই আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপের চিচিং ফাঁক আওয়াজে যেন খুলে গেল কয়েকহাজার কোটি টাকার গরু পাচারের রহস্যময় জগতের দরজা।  উঠে আসছে নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।  মানবজমিন এর হাতে এসেছে এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের কিছু অংশ যা  হিচককিয়ান  থ্রিলার  এর থেকে কিছু কম নয়।

ভারত -  বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন পাচার হয় হাজার হাজার গরু।  কয়েকশো কোটি টাকার গরু পাচার হয় প্রতিদিন। এই টাকার ভাগ্ পায় বিএসএফ,  বাংলাদেশ রেঞ্জার্স,  পুলিশ কর্তা,  রাজনৈতিক নেতারা।  সিবিআই সম্প্রতি এই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে  জিবিই ম্যাথিউ  নামে বিএসএফ এর এক কর্মীর সন্ধান পায়।  কেরালার এর্নাকুলাম থেকে তাকে  গ্রেপ্তার করে অনেক গুপ্ত তথ্য পায় তারা।  উঠে আসে ভারতের গরু পাচারকারীদের কিং পিন এনামুল হক আর বাংলাদেশের কিং পিন  হাজি মাস্তান ওরফে হুন্ডি হাজির নাম।  শুধু গরু পাচার নয়,  মুর্শিদাবাদের এনামুল আর বাংলাদেশের চাঁপাই নবাবগঞ্জের বাসিন্দা হাজি  হাওলা,  হুন্ডি ইত্যাদি বেআইনি ব্যাবসার সঙ্গে জড়িত।  এনামুলের সম্পত্তি হাজার কোটি টাকার।  মুর্শিদাবাদে প্রাসাদোপম একাধিক বাংলো,  কলকাতায় বিলাসবহুল ফ্ল্যাট,  গাড়ি   কি নেই এনামুলের!  বাংলাদেশের হাজিরও বৈভব বিশাল।  এনামুল এবং হাজি  দুজনেই আপাতত ফেরার।  কিন্তু তাদের লেজ ধরে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে বি এস এফ এর ছত্রিশ নম্বর ব্যাটালিয়ানের কমান্ড্যান্ট সতীশকুমারকে। এই সতীশকুমার দুহাজার সতেরো -  আঠারো সালে মালদহের বৈষ্ণবনগরে কমান্ডার পদে থাকার সময় গরু পাচারের ব্যবস্থা করে দিয়ে কয়েকশো কোটি টাকা কামান।  জানা গেছে উত্তরপ্রদেশ,  হরিয়ানা,  বিহার,  ঝাড়খন্ড থেকে গরু আসে বীরভূমের ইলামবাজারে।  সেখান থেকে ছোট ট্রাকে সেই গরু যায় নিমতিতার মাহাদালপুরে  আর মাকদহের বৈষ্ণবনগরে।  সেখানে গরুর গায়ে এজেন্টের কোড নম্বর পড়ে।  তারপর তা হুন্ডি হাজির কাছে চলে যায় সীমান্তের ওপারে চাঁপাই নবাবগঞ্জে।  সেখান থেকে তা চালান হয় নানা প্রান্তে।  হাওলা ব্যবসায় আরবের সঙ্গে লেনদেন করতো এনামুলের তিন ভাগ্নে ওল্টু,  বিল্টু এবং কাল্টু।  মামা -  ভাগ্নের কারবার রমরমিয়ে চলছিল।  কিন্তু বাধ সেধেছে   সিবিআই।  তারা রাজনৈতিক মূল সমেত পাচারের গাছটিকে ওপরাতে চায়।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর