গোপালগঞ্জের বলাকৈইড় পদ্মবিলের প্রাকৃতিক পদ্মফুলের সুবাস নিতে গিয়ে অপহরণের শিকার দুই কলেজছাত্রকে দুই ঘন্টা পর প্রতিবেশী গ্রাম করপাড়া স্কুল থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার রাত ১২টার বৌলতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক এ এইচ এম সালাহ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেস, অপহৃত রবিউল শেখ টুঙ্গিপাড়া সরকারী শেখ মুজিবুর রহমান ডিগ্রী কলেজ ও নুর ইসলাম পিরোজপুর সরকারী সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্র। তাদের দুজনের বাড়িই টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাঁচ কাহনিয়া গ্রামে। পর্যটক দুই কলেজ ছাত্রের অপহরণের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর পদ্মবিলছাড়াও আশপাশ এলাকায় অপহরন আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। রোববার আড়াইটার দিকে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহম্মদ ছানোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছে, শনিবার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাঁচ কাহনিয়া গ্রামের কলেজ ছাত্র রবিউল শেখ ও নুর ইসলাম তাদের অপর এক বন্ধুকে সঙ্গেঁ নিয়ে গোপালগঞ্জ জেলা সদরের বলাকৈইড় গ্রামের পদ্মবিলে ঘুরতে যায়। প্রাকৃতিক পদ্মফুলের সুবাস নিয়ে বাড়ী ফেরার সময় বনগ্রাম পশ্চিম পাড়ার সেলিম সরদারের ছেলে তামিম সরদার, নাসির ফকিরের ছেলে হামিম ফকির, কালা মহসিন ফকিরের ছেলে হোসেন ফকির ও শাহিন সরদারের ছেলে শাকিব সরদারসহ ৮/১০ জনের একদল অপহরণকারী চক্রের সদস্য কলেজ ছাত্র রবিউল শেখ ও নুর ইসলামের গতিরোধ করে। কেন তাদের গতিরোধ করা হয়েছে জানতে চাইলে তারা কোন কথা না বলে তাদেরকে জোর করে ধরে নিয়ে যায়। এরপর তারা করপারা একটি স্কুলের ভেতরে ওই দুই কলেজ ছাত্রকে আটকিয়ে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। দিতে অস্বীকৃতি জানালে অপহরণকারীরা কলেজ ছাত্রদের বেধড়ক মারপিটসহ তাদেরকে জীবনে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
বৌলতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক এ এইচ এম সালাহ উদ্দিন আহম্মেদসহ জেলার উচ্চ পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তারা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থাকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে ওই দুই কলেজ ছাত্রকে উদ্ধার করে। এ সময় গ্রেপ্তার করে অপহরণকারী চক্রের ৪ সদস্যকে। পুলিশের কাছে আটক অপহরণকারী চক্রের ৪ সদস্যকে শনিবার রাতে ও রোববার ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মোহম্মাদ ছানোয়ার হোসেন।