× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ

অনলাইন

অনলাইন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০, রবিবার, ৬:১০ পূর্বাহ্ন

নাব্য সংকটের কারণে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করেছে বিআইডব্লিউটিসি। রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে সেখানে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। শিমুলিয়া ঘাটের বিআইডব্লিউটিসি'র ব্যবস্থাপক সাফায়েত আহমেদ এ খবর নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, সকালে এই নৌরুটে ৫টি ফেরি চলছিল। ফেরিগুলো হলো-কাকলি, কিশোরী, কুমিল্লা, ফরিদপুর ও ক্যামেলিয়া। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ‘কুমিল্লা’ নামের ফেরিটি নাব্য সংকটের কারণে চ্যানেলে আটকে যায়। এরপর ক্যামেলিয়া ও কাকলি ফেরি দুইটি একই পথে গিয়ে আবার ফিরে আসে। কুমিল্লা ফেরিটি এখনও উদ্ধার হয়নি। এরপর থেকেই সব ধরনের ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
চ্যানেলে ফেরি চালানোর উপযোগী পানির গভীরতা নেই।

জানা গেছে, ৮ দিন ধরে সীমিত পরিসরে এই নৌরুটে ফেরি চলাচল করছিল। রবিবার বিকালে শিমুলিয়া ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় ছিল ৬৫টি ট্রাক ও ৩০ যাত্রীবাহী গাড়ি। ফেরি বন্ধের কারণে যাত্রীবাহী গাড়িগুলোর কিছু ফিরেও যাচ্ছে। এদিন চালু থাকা অবস্থায় ১৬০টির মতো যানবাহন ফেরি পার হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আবদুর নূর তুষার জানান, কুমিল্লা ফেরিটি উদ্ধারের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ফেরি চলবে কিনা। তবে দীর্ঘদিন যাবত নিরাপত্তাজনিত কারণে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টার পর ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হচ্ছে।

শিমুলিয়া ঘাটের মেরিন কর্মকর্তা আহম্মেদ আলী জানান, চ্যানেলে যে জায়গায় ড্রেজিং করা হয়েছে সেই  জায়গা আবার পলি দিয়ে ভরাট হয়ে গেছে। সকালে ৮ ফুট পানি ছিল কিন্তু বিকালে ৫ ফুট পানি। এই পরিস্থিতি থাকলে ফেরি চালানো যাবে না। পলি অপসারণ করে চ্যানেল বুঝিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত কবে ফেরি চলবে বলা যাচ্ছে না।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে ফেরি চলাচল ব্যাপকভাবে ব্যাহত হওয়ায় এই রুটে চলাচলকারী চালক ও যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সেপ্টেম্বর মাসের বেশিরভাগ দিন ফেরি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ ছিল। এই মাসে এই রুটে বহরের ১৬টি ফেরির সবগুলো কোনদিনই চলতে পারেনি। নাব্য সংকটের কারণে সীমিত আকারে মাত্র কয়েকদিন ফেরি চলতে পেরেছিল।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর