বরগুনার তালতলীতে পারিবারিক শত্রুতার জের ধরে ১০ বছর আগের মৃতব্যক্তির কবর কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার নলবুনিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নলবুনিয়া এলাকায় ছোহরাফ এর ছেলে রুহুল আমিন গত ১০ বছর আগে মারা যান। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। ছোহরাফ এর ভাই সাইদুর রহমান এর ছেলে রবিউল ইসলামের একটি মারামারি মামলার সাক্ষী দেন মৃত রুহুল আমিন এর বোন অজুফা বেগম। তারই জের ধরে গতকাল ২৭শে সেপ্টেম্বর শনিবার প্রকাশ্যে রবিউল পারিবারিক করবস্থান থেকে মৃত্যু ব্যক্তির মরাদেহ করব থেকে উপড়ে ফেলার জন্য কবরটি কোদাল দিয়ে কেটে ফেলে। কবর কাটার সময় রবিউল রামদা, ছেনা নিয়ে দাঁড়িয়েছিল ভয়ে কেউ পাশে যেতে পারেনি। পরে তালতলী থানায় এসে একটি অভিযোগ দেয় বোন অজুফা।
মৃত রুহুল আমিনের বোন অজুফা বলেন, আমি রবিউলের বিরুদ্ধে একটি মারামারি মামলার সাক্ষী দেয়াতে সে আমাদের পারিবারিক কবরস্থান থেকে আমার ভাইয়ের মরদেহ কবর কেটে উপড়ে ফেলার জন্য কবরটি কাটেন। কবর কাটার সময় তারা রামদা, ছেনা নিয়ে দাঁড়িয়েছিল ভয়ে আমরা কেউ কবর কাটায় বাধা দিতে পারিনি।
কবরটা এমনভাবে কাটছে বাঁশও উঠিয়ে ফেলছে। পরে আমি তালতলী থানায় একটি অভিযোগ দিলে পুলিশ এসে রবিউলকে আটক করে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ বিষয়ে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, কবরস্থান উপড়ে ফেলার বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সত্য-মিথ্যা যাচাই করে অভিযুক্ত রবিউলের বিরুদ্ধে মামলা নেয়া হবে। রবিউলের গ্রেপ্তারের বিষয় বলেন তিনি অন্য একটা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ছিলেন এজন্য ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।