সাভারে গত পাঁচ দিন ধরে তিতাস গ্যাসের এক ঠিকাদার নিখোঁজ রয়েছে। এ ঘটনায় তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় গ্যাস অফিসে খোঁজ নিতে যায় পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু সেখান থেকে তাদেরকে ওই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে কোন তথ্য না দিয়ে উল্টো মারধর করে তাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশিন কোম্পানীর সাভার জোনাল অফিস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি জানিয়ে রবিবার সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নিখোঁজ ঠিকাদারের চাচাতো ভাই মোঃ শফিকুল ইসলাম। নিখোঁজ ঠিকাদারের নাম মোঃ তারা মিয়া (৫৫)। সে মানিকগঞ্জ জেলার সদর থানার বড় বারাহেরচর গ্রামের মৃত মেরু মাদবরের ছেলে। সে সাভারের শিমুতলা এলাকায় অবস্থিত তিতাস গ্যাস অফিসের ঠিকাদারী কাজ করার পাশাপাশি অফিসের ভেতরেই সহকর্মীদের সাথে বসবাস করতো। লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত পাঁচ দিন ধরে ঠিকাদার তারা মিয়ার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় পরিবারের লোকজন তার সাথে যোগাযোগ করতে পারছিলোনা।
এঘটনায় তার চাচাতো ভাই শফিকুল ইসলাম রবিবার সকালে ঠিকাদার তারা মিয়াকে খোজতে সাভার তিতাস গ্যাস অফিসের শিমুলতলা কার্যালয়ে গিয়ে ছবি দেখিয়ে খোজ করেন। কিন্তু তাহার অবস্থান সর্ম্পকে কর্তৃপক্ষ কোন তথ্য না দিয়ে উল্টোপাল্টা কথা বলে এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে তারিয়ে দেয়। এঘটনায় সন্দেহ হলে তার অবস্থান সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ অবগত আছে এবং তাহারা তারা মিয়ার বড় ধরনের ক্ষতি করিয়া থাকতে পারে জানিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগে। সাভার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেডের উপব্যবস্থাপক মোঃ আব্দুল মান্নান বলেন, আমাদের অফিসে শতাধিক ঠিকাদার কাজ করে, কিন্তু তারা মিয়া নামে কাউকে চিনিনা। এছাড়া অফিসের ভেতরে কর্মকর্তাদের থাকার জায়গা থাকলেও ঠিকাদারদের থাকার কোন বাসস্থান নেই বলেও জানান তিন। এব্যাপারে সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ তারিকুল ইসলাম বলেন, তারা মিয়া নামে এক ব্যক্তি নিখোঁজের একটি অভিযোগ পেয়েছি। বাদীকে ডাকা হয়েছে, তার সাথে কথা বলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।