ঢাকার কেরানীগঞ্জে এক গৃহবধূকে গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত গৃহবধূর নাম ফাতেমা বেগম (২৬)। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে মডেল থানার জিয়ানগর এলাকায়। নিহতের স্বামীর নাম আবদুল সামাদ। সে স্থানীয় খোলামোড়া বাজারে ডিমের ব্যবসা করেন। গতকাল সকালে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহত ফাতেমা ঢাকার কামরাঙ্গীচর থানার চর আলীনগর এলাকার মো. বাবুলের বড় মেয়ে। নিহতের একমাত্র ছেলে মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে ও স্বামী কেরানীগঞ্জের খোলামোড়া বাজারে ডিমের ব্যবসা করেন।
নিহতের স্বজনরা জানায়, ১৫ বছর আগে ঢাকার কামরাঙ্গী থানার চর আলীনগর এলাকার মো. বাবুল মিয়ার মেয়ে ফাতেমা বেগমের করানীগঞ্জের জিয়ানগর এলাকার মৃত মো. সওকত আলীর ছেলে আব্দুল সামাদের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ফাতেমা কেরানীগঞ্জ মডেল থানার জিয়ানগর এলাকায় স্বামী-সন্তান নিয়ে নিজ বাসায় বসবাস করতেন। হঠাৎ শনিবার রাতে ফাতেমার স্বামী বাড়ি ফিরে তার স্ত্রীর গলাকাটা লাশ ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে তিনি চিৎকার করে ওঠেন। এতে এলাকাবাসী জড়ো হয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এ ঘটনার খবর পেয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ ও সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থলে দ্রুত ছুটে আসে। ঘটনাটি ক্লুলেছ হওয়ায় এই মুহূর্তে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। নিহতের স্বামী আবদুল সামাদ জানান, তার স্ত্রীকে শনিবার সকালে বাসায় একা রেখে তিনি ব্যবসার কাজে খোলামোড়া বাজারে যান। বাসায় ফেরার আগে অনেক বার ফোন দিয়েও তার স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি তিনি। এরপর রাতে বাসায় ফিরে দেখেন তার স্ত্রীর গলাকাটা লাশ ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী মাইনুল ইসলাম (ওসি) বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি তদন্ত করে দ্রুত জড়িতদের আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে।