দীর্ঘ ছ'মাস পরে আবার সচল হচ্ছে কলকাতার নৈশ জীবন। পানশালাগুলো আগেই খুলেছিল। খোলেনি সিংগিং বার, নাইট ক্লাব। পয়লা অক্টোবর থেকে সিনেমা, থিয়েটার, নাচগানের অনুষ্ঠান, ম্যাজিক শো সবের দরজা খুলে দেয়া হচ্ছে। সামাজিক দূরত্ববিধি অবশ্য মানতে হবে। থার্মাল গান, স্যানিটাইজার, মাস্ক একদম মাস্ট। কলকাতা তৈরি হচ্ছে তার চিরাচরিত নৈশ জীবনের জন্য। লালবাজারে গায়িকাদের ক্রুনার লাইসেন্স নবীকরণের জন্যে লম্বা লাইন পড়ছে।
সিংগিং বার এর ব্যান্ড ম্যানেজাররা তদারকিতে ব্যস্ত। ঝাড়পোঁছ শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিন পরে আবার লাইভ ব্যান্ড। সবমিলিয়ে কলকাতা আবার কলকাতায় ফিরছে।
তবে, পঞ্চাশ জনের বেশি লোককে নিয়ে কোনও সমাবেশ করা যাবে না। এই ঘোষণায় কিঞ্চিৎ বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। সিংগিং বার কিংবা নাইট ক্লাব-এ তবু সংখ্যাটা সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব। কিন্তু জলসা বা অন্য অনুষ্ঠানে তা কি করে সম্ভব?
মাত্র পঞ্চাশ জন দর্শক নিয়ে সিনেমা হল খুলতে গেলে পড়তায় পোষাবে না। বিনোদন দুনিয়া আশা করছে, এই নিয়মও পয়লা অক্টোবরের আগেই সংশোধিত হবে। তবে, পয়লা অক্টোবর থেকে কলকাতাসহ বঙ্গে বিনোদন ফিরে আসায় শিল্পীমহল খুশি। রুজিরুটি বন্ধ থাকায় তারা নাভিশ্বাস দেখছিলেন। মধ্য কলকাতার বিখ্যাত ব্যান্ডমাস্টার জাহাঙ্গীর খানের কথায়- সিঙ্গার, বাদক, ফ্লোরবয় সবাই এবার খেয়ে বাঁচবে। কিন্তু, করোনাকে নিয়ে চলা জীবনে কি সিংগিং বার-এ ভিড় হবে? সল্টলেক সেক্টর ফাইভের এক সিংগিং বার এর মালিকের ভাষ্য- মানুষ বুভুক্ষু হয়ে আছে। ভালো গান, পান আহার তাদের আকৃষ্ট করবেই। তিনি তার সিংগিং বার খুলছেন ঢাকের বোল দিয়ে, আবাহনের সুর। নৈশ জীবনকে ফিরে পাওয়ার আবাহন।