হাথরাস গণধর্ষণ কাণ্ডে ১৯ বছরের এক দলিত রমণীর মৃত্যুর ঘটনা ভারতে গণহিস্টিরিয়ায় পরিণত হয়েছে। দিল্লির সেই নির্ভয়া কাণ্ডের প্রতিরূপ দেখা যাচ্ছে। ধর্ষিত হওয়ার পর হাথরাসের তরুণীটির মৃত্যু হয় দিল্লির হাসপাতালে। এরপরই উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঢেউ ওঠে। হাথরাসে বিক্ষোভ দেখানোর সময় রাহুল গান্ধী গ্রেপ্তার হন। শুক্রবার হাথরাসে নিহত তরুণীর বাড়িতে যাওয়ার সময় তৃণমূল কংগ্রেস এর দুই দলিত সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর ও প্রতিমা মণ্ডলকে পুলিশ ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেয়। রাজ্য সভার সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েন হাথরাসে পুলিশের ধাক্কায় মাটিতে পড়ে যান। অবশেষে হাথরাসে দলিত রমণীর গ্যাং রেপের বিরুদ্ধে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পথে নামছেন।
শনিবার বিড়লা প্লানেটোরিয়াম থেকে গান্ধী মূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত তিনি পদযাত্রা করবেন। করোনার পান্ডেমিক শুরু হওয়ার পর মমতার এই প্রথম পথে নামা। পদযাত্রা থেকে দাবি উঠবে উত্তরপ্রদেশে যোগী সরকারকে বরখাস্ত করার। ইতিমধ্যে হাথরাসের এসপিসহ চার পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড করেছে যোগী সরকার। কিন্তু এটিকে আইওয়াশ বলে বর্ণনা করছে বিরোধীরা। হাথরাস কাণ্ডের ছায়ায় নির্ভয়া কাণ্ডের কায়া দেখছেন অনেকেই। আগামী দিনে আন্দোলন আরও তীব্র হবে মনে করছেন তাঁরা।