× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

হাথরাস গণধর্ষণকাণ্ড চেপে দেয়ার চেষ্টা হয়, মিডিয়ার কারণে সম্ভব হয়নি

ভারত

বিশেষ সংবাদদাতা, কলকাতা
(৩ বছর আগে) অক্টোবর ৩, ২০২০, শনিবার, ১০:২৬ পূর্বাহ্ন

হাথরাসে গণধর্ষণের পর ১৯ বছরের তরুণীর মৃত্যুর ঘটনা যাতে প্রকাশ্যে না আসে তার জন্য সব চেষ্টাই করেছিল যোগী প্রশাসন। মেয়েটিকে দিল্লিতে নিঃশব্দে নিয়ে গিয়ে এইমস-এ ভর্তি না করিয়ে সাফদারজং হাসপাতালে ভর্তি করানো, মেডিকেল টেস্টে বিলম্ব, চুপিসারে মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলা ইত্যাদি। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ মিডিয়া সদা জাগ্রত থাকায় তা সম্ভব হয়নি। মিডিয়া খবরটিকে ট্রাক করেছে ছিনে জোঁকের মত। সত্য উদ্ঘাটিত হয়েছে।
জানা গেছে, মেয়েটি অন্ত্যজ বাল্মীকি সম্প্রদায়ের। ধর্ষকরা ধর্ষণের পর মেয়েটির জিভ কেটে নিয়েছিল, যাতে সে কথা বলতে না পারে। দরিদ্র মেয়েটির পরিবারের হাতে মোটা টাকা গুঁজে দিয়ে তাদের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা হয়েছিল।
এই প্রয়াস থমকে যায় মিডিয়ার অতন্দ্র প্রহরার জন্য। কথায় কথায় আজকাল মিডিয়াকে অপরাধের কাঠগড়ায় তোলা হয়। কিন্তু, এই মিডিয়াইতো নির্ভয়ার অপরাধীদের বারবার চিহ্নিত করে। হাথরাসের বাল্মীকি কন্যার মৃত্যুকে ব্যর্থ হতে দেয় না।
ভারতে প্রতিদিন ৮ জন দলিত মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়। ন্যাশনাল ব্যুরো অফ ক্রাইম রেকর্ডসের এ তথ্যের বাইরেও দলিত মেয়েরা ধর্ষিত হচ্ছে। কেউ ভয়ে, কেউ প্রলোভনে মুখ খোলে না।
দলিত ধর্ষণের ঘটনা উত্তরপ্রদেশে সব থেকে বেশি। সহায়-সম্বলহীন দলিত মেয়েদের ভোগ্যপণ্য করে ব্রাহ্মণবাদ হয়তো সন্তোষ অনুভব করে, কিন্তু, বিচারের বাণী নীরবে-নিভৃতে কাঁদে। এবার মিডিয়া তা হতে দেয়নি। ভবিষ্যৎ বলবে বাল্মীকি কন্যার আত্মাহুতি বিফলে যাবে কিনা? কিন্তু, আগুন জ্বলেছে। পাঠকাঠিতে অগ্নিসংযোগ করেছে বহু নিন্দিত, সমালোচিত মিডিয়াই।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর