মুকুল রায় কিংবা দিলীপ ঘোষ নন। বাংলার নির্বাচনে চাণক্যের ভূমিকা নিয়ে অবতীর্ণ হচ্ছেন স্বয়ং অমিত শাহ। করোনার আক্রমণে তিনি কিছুটা দুর্বল হয়েছিলেন। এখন সুস্থ। পাখির চোখ করেছেন বাংলার ভোটকে। তৃণমূল কংগ্রেসকে ক্ষমতাচ্যুত করাটাই তার লক্ষ্য। পুজোর পর তিনি চলে আসছেন বাংলায়। ক্যাম্প করবেন এই বঙ্গে। যেহেতু তিনি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তাই দিল্লিতেও থাকতে হবে। কিন্তু, বাংলার নির্বাচনে স্ট্র্যাটেজি তৈরি থেকে প্রার্থী বাছাই সব ব্যাপারেই শেষ কথা বলবেন অমিত শাহ। রাজধানীতে প্রায় সাড়ে চার ঘন্টার বৈঠকে বাংলার নির্বাচনের রূপরেখা তৈরি হয়। মুকুল রায় ও দিলীপ ঘোষকে পাশে বসিয়ে ইতিকর্তব্য বুঝিয়ে দেন অমিত শাহ। তবে, মুখে না বললেও এটা বুঝতে অসুবিধা নেই চাণক্যের রথের মূল সারথি হতে চলেছেন মুকুল রায়ই। অমিত শাহ নিজে দায়িত্বে থাকায় মুকুল বিরোধীরা সেভাবে বিরোধিতা করতে পারবে না। অমিত শাহ পুজোর পর উত্তরবঙ্গে, দক্ষিণবঙ্গে ও কলকাতায় একটি করে জনসভা করবেন। সামাজিক দূরত্ব মেনে সভা হবে। ভার্চুয়ালি এই সভার বিবরণ পৌঁছাবে বাংলার ঘরে ঘরে। অমিত শাহ ব্লক স্তরে সংগঠন বাড়ানোর দিকে নজর দিতে বলেছেন। আকিলিসের গোড়ালির মত তৃণমূলের দুর্বল জায়গাগুলোকে চিহ্নিত করে সেখানে আঘাত হানার পরিকল্পনা নিয়েছেন অমিত শাহ। তিনি জানেন ও বিশ্বাস করেন যে, মমতা বন্দোপাধ্যায় এর আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা বিজেপির বঙ্গ বিজয় এর অন্তরায়। তাই, তিনি সেদিকটাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন।।