আজ বিজেপির জাতীয় যুব মোর্চার নবান্ন অভিযানের ঠিক আগে বুধবার রাতে স্যানিটাইজেসনের জন্য বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার নবান্ন বন্ধ করে দিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর মাস্টারস্ট্রোক-এ কিছুটা হতবাক বিজেপি জানালো, নবান্ন অভিযান হবেই। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বললেন, উনি পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন। বিজেপি ওঁকে পালতে দেবে না।
বৃহস্পতিবার এর নবান্ন অভিযান মূলত ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার কর্মসূচি। যুব মোর্চার নব নির্বাচিত সভাপতি তেজস্বী সূর্য এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে বুধবার রাতের বিমানে দিল্লি থেকে কলকাতায় পৌঁছেছেন। বিজেপির বরিষ্ঠ নেতারা এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন বলে কার্যত এটি বিজেপির কর্মসূচি হয়ে গেছে। চারটি মিছিল আসবে মধ্য কলকাতার বিজেপির সদর দপ্তর, হেস্টিংস, হাওড়া ময়দান ও সাঁতরাগাছি থেকে। সদর দপ্তর থেকে মিছিলে নেতৃত্ব দেবেন দিলীপ ঘোষ, থাকবেন অর্জুন সিং।
হেস্টিংসের মিছিলের ক্যাপ্টেন কৈলাশ বিজয়বর্গিও, সঙ্গে থাকছেন মুকুল রায়। হাওড়া ময়দানের মিছিলের নেতৃত্বে তেজস্বী সূর্য, সাঁতরাগাছিতে নেতা সায়ন্তন বসু। কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, করোনা অতিমারির মধ্যে এই সমাবেশের অনুমতি তারা দেয়নি। স্বাভাবিকভাবেই মিছিলের গতিরোধ করা হবে। এর ফলে অশান্ত হতে পারে শহর। নবান্নে অবশ্য ছুটি ঘোষণা করে দেয়া হয়েছে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার স্যানিটাইজ করার জন্য। ছুটি রাইটার্স বিল্ডিংয়েও। অর্থাৎ রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক সব দপ্তর বন্ধ থাকছে। বিজেপি অবশ্য মমতা সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদে নবান্ন অভিযানে অটল। জেলা থেকে বাসে করে কর্মীদের আনা হয়েছে। কলকাতা পুলিশও তৈরি জলকামান, কাঁদানে গ্যাস নিয়ে। বৃহস্পতিবার এর বড়বেলা অশান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।