২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটি শেষ দুর্গাপূজা।  বাঙালির প্রাণের উৎসব,  মননের অনুষ্ঠান।  করোনা অবহেও দুর্গাপূজা হচ্ছে সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে।  রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজে পূজার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছেন।  সঙ্গে সঙ্গে এবারের বিধানসভা ভোটে দুই যুযুধান পক্ষ তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি কোমড়  বেঁধে নেমে পড়েছে এই দুর্গাপূজাকে নির্বাচনী প্রচারের কাজে লাগানোর জন্যে।  অন্যবার মমতা বন্দোপাধ্যায় মহালয়ার আগের থেকেই মণ্ডপে মণ্ডপে গিয়ে পূজার উদ্বোধন করেন।  এবার বেশিরভাগটাই হবে ভার্চুয়াল।  তবে,  মণ্ডপে মণ্ডপে মমতার রেকর্ডেড ভাষণ বাজবে।  এই ভাষণে বাংলার মানুষের কাছে আবেদন থাকবে অশুভ রাজনৈতিক অসুর বিনাশ করে বাংলাকে সুজলা সুফলা করার। মমতার ভিডিও বার্তাও দেখানো হবে জায়ান্ট স্ক্রিনে।  বিজেপি এই করোনাকালে দুর্গাপূজার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করলেও সেই দুর্গাপূজাকেই প্রচারের হাতিয়ার করতে চাইছে।  পূজার আগেই অমিত শাহ আসছেন কলকাতায়।  উত্তরবঙ্গে তিনি সভা করবেন।  এছাড়াও ২২ অক্টোবর  বোধনের দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আসছেন কলকাতায় পূজায় অংশ নিতে।   না,  কায়িকভাবে তিনি আসছেন না,  আসছেন ভার্চুয়ালি।  মণ্ডপে মণ্ডপে বিজেপি আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শেষে মোদি একঘন্টা ভার্চুয়ালি থাকবেন মণ্ডপগুলোতে।  ভাষণও দেবেন।  এই করোনাকালের দূর্গাপূজাতেও তৃণমূল এবং বিজেপি কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে রাজি নয়।  টেকনোলজির সাহায্য নিয়ে লড়তে চায় তারা।।