তিনি সম্ভবত ভারতের একমাত্র অভিনেতা যার নামে একটি মন্দির আছে। রীতিমতো তার বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করে পূজা করা হয়। দক্ষিণ কলকাতার ব্রড স্ট্রিট এর এই মন্দির সম্পর্কে অমিতাভ বচ্চনও অভিহিত। তিনি তার ব্যবহার করা জুতো, জামাকাপড় দান করেছেন ভক্তদের এই মন্দিরে রাখার জন্যে। প্রতিবার মাইক বাজিয়ে, আলোর মালায়, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১১ অক্টোবর অমিতাভের জন্মদিন পালন করা হয় এই মন্দিরে। এবার করোনার কারণে আড়ম্বরে অনেক ভাঁটা, কিন্তু আন্তরিকতায় নয়। সকাল সাতটায় রীতিমতো মন্ত্রোচ্চারণ করে অমিতাভ বচ্চন পূজা শুরু হয়ে গেছে। আলো দিয়ে সেজেছে মন্দিরও।
বিশেষ সংবাদদাতা জানাচ্ছেন, মুম্বইয়ের জলসার সামনে ভক্তকুল ভোর থেকেই ভিড় জমিয়েছেন।
প্রতিবার অমিতাভ এই দিনটিতে জলসার বারান্দায় এসে হাত নেড়ে ফ্যানদের দর্শন দেন। যে কোনও মুহূর্তে আজও তিনি আসবেন। ভক্তরা তাই সমবেত হচ্ছেন। সেই কবে, সাতের দশকে খাজা আহম্মেদ আব্বাস এর সাত হিন্দুস্থানি ছবি দিয়ে অমিতাভের যাত্রা শুরু হয়েছিল। আজ তিনি বিশ্বনন্দিত অভিনেতা। ছোটবেলায় নাম ছিল ইনকিলাব। বাবা হরিবংশ রাই বচ্চনের এলাহাবাদ এর বন্ধু কবি সুমিত্রা নন্দ পন্থ ইনকিলাব নামটি বদলে অমিতাভ করে দেন। সেই নামেই তার সাফল্য, প্রতিষ্ঠা। এখনো তিনি বলিউডে ওয়ান ম্যান ইন্ডাস্ট্রি। তার জন্মদিনে মানবজমিন এর সশ্রদ্ধ স্বীকৃতি।