ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে যে, বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের করোনা ভাইরাসের একটি পরীক্ষামুলক টিকা দিচ্ছে চীনের রাষ্ট্রপরিচালিত ফার্মাসিউটিক্যাল গ্রুপ সিনোফার্ম-এর একটি প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল বায়োটেক গ্রুপ (সিএনবিজি)। প্রথমে কোম্পানির ওয়েবসাইটে বলা হয়, এরই মধ্যে ৪ লাখ ৮১ হাজার ৬১৩ জনকে এই টিকা দেয়া হয়েছে। সোমবার নাগাদ আরো ৯৩ হাজার ৬৫৩ জনকে এই টিকা দেয়ার কথা। কিন্তু এমন কথা প্রকাশ হওয়ার পরই ওই কোম্পানিটি তাদের ওয়েবসাইট থেকে এসব তথ্য সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এতে ক্লিক করলে লেখা উঠছে ‘আন্ডার মেইনটেনেন্স’ বা মেরামতের কাজ চলছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন গার্ডিয়ান। এতে আরো বলা হচ্ছে, সিনোফার্ম করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে দুটি টিকা উদ্ভাবনের কাজ করছে। কিন্তু সিনোফার্মের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল বায়োটেক গ্রুপ কোম্পানি এরই মধ্যে এই দুটি টিকা প্রয়োগ করা শুরু করেছে।
তারা বেইজিং ও উহানের শিক্ষার্থীদের এই টিকা দিচ্ছে। বিশেষ করে যেসব শিক্ষার্থী বিদেশে যাচ্ছেন তাদের ওপর এর প্রয়োগ হচ্ছে বেশি। গার্ডিয়ান লিখেছে, রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার খবর অনুযায়ী, গত বছর ডিসেম্বরে প্রথম করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে চীনের উহানে। সেখান থেকে বেইজিং এবং পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস। নভেম্বর থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারির মধ্যে যেসব চীনা শিক্ষার্থী বিদেশে যাচ্ছেন তারা এই টিকাদান কর্মসূচিতে বৈধতা পাচ্ছেন বা যোগ্য বলে বিবেচিত হচ্ছেন। মঙ্গলবার ওই কোম্পানিটির ওয়েবসাইটে ঢুকলে তাতে ‘আন্ডার মেইনটেন্যান্স’ লেখা দেখায়। ফলে প্রকাশিত ওই রিপোর্ট নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। উহানের শিক্ষার্থীরা বলেছেন, রাষ্ট্রীয় মিডিয়া থেকে জানানো হয়েছে এই কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।
প্রথমে এ খবর প্রকাশ হয় মঙ্গলবার। এদিন ব্লুমবার্গ রিপোর্ট করে যে, শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার একটি পরিকল্পনা নিয়ে চীন সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছে সিনোফার্ম। বুধবার রাষ্ট্র পরিচালিত পিপলস ডেইলির অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হেলথ টাইমস কোম্পানির অজ্ঞাত একটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে রিপোর্ট করে যে, সিনোফার্ম থেকে এমন টিকা দেয়ার তথ্য সঠিক নয়। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করে নি সিএনবিজি।
উল্লেখ্য, কোভিড-১৯ বিরোধী টিকা নিয়ে বিশ্বে যে প্রতিযোগিতা চলছে তাতে নেতৃত্ব দানকারী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে চীন। তাদের চারটি টিকা ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার চূড়ান্ত দফায় রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই টিকা নভেম্বর বা ডিসেম্বরের শুরুতে চীনে পর্যাপ্ত পাওয়া যাবে। জুলাইয়ে সেখানে জরুরি টিকা কর্মসূচি চালু হয়েছে। এরপর হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবক পরীক্ষামুলক টিকা গ্রহণ করেছেন।