× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নিউ স্ট্রেইটস টাইমসের প্রতিবেদন / জরুরি অবস্থা উপেক্ষাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর দমনপীড়নের আহ্বান থাই প্রধানমন্ত্রীর

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) অক্টোবর ১৭, ২০২০, শনিবার, ১১:৩১ পূর্বাহ্ন

জরুরি অবস্থা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ করেছেন থাইল্যান্ডের বিক্ষুব্ধ জনতা। শুক্রবার দিবাগত রাতে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এরপরই বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে দমনপীড়ন কঠোর করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা। অন্যদিকে টানা চতুর্থ দিনের মতো আজ শনিবার বিক্ষোভ করার পরিকল্পনা রয়েছে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের। ব্লুমবার্গকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে নিউ স্ট্রেইটস টাইমস। এতে বলা হয়, রাজার ক্ষমতা খর্ব করা এবং প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবিতে রাজধানী ব্যাংককে বিক্ষোভ তীব্র করে তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা। সাম্প্রতিক সময়ে এত বিশাল বিক্ষোভ দেখা যায়নি। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চান-ওচা পদত্যাগে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
পাল্টা তিনি ব্যাংককে জারি করেছেন জরুরি অবস্থা। শুক্রবার বিক্ষোভকারীরা সেই জরুরি অবস্থা ভঙ্গ করে রাজধানী ব্যাংককের একটি ব্যস্ত ক্রসিং পয়েন্টে বিক্ষোভ করেন। এতে যোগ দেন কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী। পুলিশ এ সময় তাদেরকে লাঠিচার্জ করে হটিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। উচ্চ চাপের জলকামান দিয়ে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে। গ্রেপ্তার করা হয় সাতজনকে।

প্রধানমন্ত্রী সরকারকে জরুরি অবস্থার আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রশাসনিক মুখপাত্র অনুচা বুরাপাছাইশ্রী এক বিবৃতিতে বলেছেন, জরুরি অবস্থার আইন কঠোরভাবে প্রয়োগের নির্দেশ দিলেও সব কর্মকর্তাকে সহিংসতা পরিহার করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, থাইল্যান্ড একটি রাজতান্ত্রিক দেশ। সেখানে রাজাকে দেখা হয় সর্বোচ্চ সম্মানীত ব্যক্তি হিসেবে। রাজা যে ক্ষমতা ভোগ করেন, তা সংস্কারের দাবি তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা। এ ছাড়া তারা অধিকতর গণতন্ত্রের দাবি তুলেছেন। থাইল্যান্ডে দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে রাজপরিবারের সমালোচনা নিষিদ্ধ। কিন্তু সেই ধারা ভঙ্গ করেছেন বিক্ষোভকারীরা। তারা ওইসব আইন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, যে আইন রাজতন্ত্র নিয়ে আলোচনার গলা টিপে ধরে। এমন অবস্থায় শুক্রবার রাতে টেলিভিশনে বক্তব্য দিয়েছেন রাজা মাহা ভাজিরালংকর্ন। তাতে তিনি বলেছেন, দেশে সেইসব মানুষ প্রয়োজন, যারা দেশকে ভালবাসেন। দেশে সেই সব মানুষ প্রয়োজন, যারা রাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠানকে ভালবাসেন। এ সময় রাজার পাশে ছিলেন রানী সুথিদা বজরাসুধা বিমালালাকশানা। এখানে উল্লেখ্য,  সপ্তাহের শুরুতে বিক্ষোভকারীদের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল রাণী সুথিদার মোটর বহর। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘আমাদের ট্যাক্স (কোথায়)’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। একই সঙ্গে তারা তিন আঙ্গুল দিয়ে তাকে স্যালুট দিতে থাকেন। উল্লেখ্য, বিক্ষোভের চিহ্ন হিসেবে তিন আঙ্গুল প্রদর্শন করা হয়। তারা প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চান-ওচার পদত্যাগ দাবি করেন এবং সংবিধান নতুন করে লেখার দাবি তুলেছেন। কারণ এই সংবিধানের খসড়া করেছিল সেনাবাহিনী নিযুক্ত প্যানেল। ২০১৪ সালে রক্তপাতহীন এক অভ্যুত্থানে সাবেক সেনা প্রধান প্রায়ুত চান-ওচা ক্ষমতা দখলের পর ওই সংবিধান লেখান তিনি। অধিকারকর্মীরা বলছেন, ওই সংবিধান প্রায়ুত চান-ওচাকে ২০১৯ সালের নির্বাচনের পর ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার পথ করে দিয়েছে।

ওদিকে প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি পদত্যাগ করবেন না। তিনি বৃহস্পতিবার ঘোষণা দেন যে, এই জরুরি অবস্থা ৩০ দিন পর্যন্ত বহাল থাকবে। যদি অবস্থার উন্নতি হয় তাহলে এই সময় কমে আসতে পারে। বুধবার রাতে হাজারো বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশ লাইন ও প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চান-ওচার অফিস ঘেরাও করে। এরপর থেকেই ব্যাংককে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে প্রতিবাদী জনতা তাদের মধ্যে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে। গত সপ্তাহে কমপক্ষে ৫০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে থাই লয়ার্স ফর হিউম্যান রাইটস। পুলিশ বলেছে, ৫ বা তারো অধিক মানুষের একত্রিত হওয়া নিষিদ্ধ রয়েছে জরুরি অবস্থায়। এই নিয়ম যারাই ভঙ্গ করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে গ্রেপ্তার করা নেতাকর্মীদের শুক্রবার মুক্তি দাবি করা হয়েছে বিক্ষোভ থেকে এবং বিক্ষোভে জনগণকে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর