নিজের দিনে এবি ডি ভিলিয়ার্সকে আটকাতে ঘাম ছুটে যায় বোলারদের। ব্যাট হাতে রীতিমতো তান্ডব চালান ‘মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রি’। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর সতীর্থ বিরাট কোহলির কাছ থেকে ‘সুপারহিউম্যান’ উপাধি পাওয়া এই ব্যাটসম্যান টর্নেডো ইনিংস খেলেছেন শনিবারও। তার ২২ বলে ৫৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংসেই রাজস্থান রয়্যালসকে হারায় বেঙ্গালুরু। কঠিন চাপের মুখে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের সময় ভিলিয়ার্সের মধ্যে দেখা যায় না কোন চাপ। তবে এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান জানালেন, কঠিন মুহূর্তগুলোতে চাপ অনুভব করেন তিনিও।
শেষ ২ ওভারে ৩৫ রান প্রয়োজন ছিল বেঙ্গালুরুর। জয়দেব উনাদকাটের করা ১৯তম ওভারে টানা তিন ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ হাতের মুঠোয় নিয়ে আসেন। শেষ ওভারে ৩ বলে ৫ রান প্রয়োজনের সময় জফরা আর্চারকে ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচের সমাপ্তি টানেন।
চলমান আইপিএলে ১৯০ স্ট্রাইক রেটে ২৮৫ রান করার পথে খেলেছেন কয়েকটি টর্নেডো ইনিংস। এর আগে খেলেছেন ৩৩ বলে ৭৩, ২৪ বলে ৫৫ ও ৩০ বলে ৫১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। ৯ ইনিংসে ছক্কা হাঁকিয়েছেন ১৮টি। বাউন্ডারি ২১টি।
ব্যাটিংয়ের সময় চাপে আছেন এমনটা দেখা যায় না আপনাকে? ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলের প্রশ্নের উত্তরে ভিলিয়ার্স বলেন, ‘সত্যি বলতে আমি প্রচন্ড চাপ অনুভব করি। নার্ভাস ও অস্থির হই। আমি চেষ্টা করি সেসব লুকাতে। তবে আমি বোলারদের যথেষ্ট সম্মান করি। ভালো বল করলে তারা এগিয়ে থাকে। আমি চেষ্টা করি সেসব বদলে দিতে। এই ম্যাচে যেমন আমি সফল হতে পেরেছি।’