× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রোহিঙ্গারা রাজি, বৈশ্বিক চাপ অগ্রাহ্য / ভাষানচরে স্থানান্তরের সিদ্ধান্তে অনড় ঢাকা

অনলাইন

কূটনৈতিক রিপোর্টার
(৩ বছর আগে) অক্টোবর ১৮, ২০২০, রবিবার, ৯:৪৫ পূর্বাহ্ন

ভাষানচরে যেতে রোহিঙ্গাদের একটি অংশ রাজি এমন দাবি করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, তারপরও ইউএনএইচসিআরসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা বাস্তুচ্যুতদের ভাষানচরে না পাঠাতে সরকারের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে। ভূমিধসে ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে আশ্রিত মিয়ানমার নাগরিকদের সুরক্ষা এবং তাদের উন্নত জীবন ও জীবিকার প্রশ্নে সরকার স্থানান্তরের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে বলেন, ভাষানচর খুব সুন্দর জায়গা। এটি একটি রিসোর্ট হওয়া উচিত ছিল। আমি যদি দায়িত্বে থাকতাম তাহলে এটাকে রিসোর্টই বানাতাম। রোহিঙ্গারা রাখাইনে যেভাবে জীবিকা নির্বাহ করতো, ভাষানচরে গেলে সেভাবেই জীবিকা নির্বাহ করতে পারবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা যেতে ইচ্ছুক। প্রায় ২৩ হাজার পরিবার অর্থাৎ ১ লাখ রোহিঙ্গাকে ভাষানচরে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সরকার ধীরে ধীরে সেখানে তাদের সরিয়ে নিতে চায়। ভাষানচরের পরিদর্শন করে সম্প্রতি রোহিঙ্গা নেতারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারপরও সেখানে জাতিসংঘের কারিগরি ও মানবিক সুরক্ষা দলের সফরের ওপর জোর দিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত রেন্সজে তেরিঙ্ক।
তিনি বলেন, সম্প্রতি প্রথমবারের মতো পরিস্থিতি দেখাটা ছিল এক সমাদৃত পদক্ষেপ। তবে প্রস্তাবিত জাতিসংঘের কারিগরি ও সুরক্ষা মূল্যায়নের বিষয়টিকেও এগিয়ে নেয়া গুরত্বপূর্ণ। সেই সঙ্গে সেখানে ইতিমধ্যে স্থানান্তরিত ৩০৬ শরণার্থীর মানবিক ও সুরক্ষা পরিস্থিতি মূল্যায়নে আলাদাভাবে সফর দরকার। এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন রোববার বলেন, ভাষানচরে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের মোটামুটিভাবে ভালো রাখার চেষ্টা করছে সরকার। তাদের কোনো অভিযোগ নেই। কিন্তু ইউএনএইচসিআর বলছে ভাষানচর পরিস্থিতি মূল্যায়নে রিপোর্ট করতে হবে। আর দূরে থাকা মানবাধিকার সংগঠনগুলো কক্সবাজার থেকে রোহিঙ্গাদের ভাষানচরে স্থানান্তরের জন্য নতুন নতুন শর্ত দিচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, ভাষানচরে যাতে পানি না ওঠে এ জন্য বড় বাঁধ দেয়া হয়েছে। সদ্য বয়ে যাওয়া আম্ফানেও ভাষানচর সুরক্ষিত ছিল। প্রাকৃতির ওই দুর্যোগ থেকে বাঁচতে অনেকেই সেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর