× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ডুমুরিয়ায় প্রতিমন্ত্রীর ভাগ্নে পরিচয়ে ৩০ লাখ টাকার মাটি বিক্রি

বাংলারজমিন

ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি
১৯ অক্টোবর ২০২০, সোমবার

এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রীর আপন ভাগ্নে পরিচয় দিয়ে ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে ডুমুরিয়া নদী খননের প্রায় ৩০ লাখ টাকার সরকারি মাটি কেটে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। এমন মিথ্যাচারের ঘটনা ফাঁস হলে গতকাল দুপুরে স্থানীয় গ্রামবাসী ওই সরকারি মাটি কাটা বন্ধ করে একটি এস্কেভেটর আটক করে। জনরোষে পালিয়েছে মাটি পাচারকারীর দল। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের কাঠালতলা এলাকায়।     
জানা গেছে, গত বছর বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড খুলনার ডুমুরিয়া ও যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার অভ্যন্তরে ১৯ কিলোমিটার জুঁড়ে ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে আপার মরা ভদ্রা নদী খনন করা হয়। নদী খননের মাটি তুলে নদীর দুই পাড়ে রাখা হয়। ওই মাটি রাখার ফলে নদী সংলঘ্ন গ্রামগুলো বন্যনিয়ন্ত্রণ বাঁধের ন্যায় বিভিন্ন সময় প্রকৃতিক দুর্যোগ, জোয়ারের পানি ও বর্ষার মৌসুমে জলোচ্ছ্বাস থেকে মানুষ রক্ষা পায়।
তারই ফাঁক গলিয়ে যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার যুবলীগ নেতা ও         এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্রাচার্য (যশোর-৫ মনিরামপুর)-এর স্থানীয় এমপি’র আপন ভাগ্নে পরিচয় দানকারী পলাশ চক্রবর্তী নামে এক যুবক পাউবোর মাধ্যমে মাটি ক্রয় করেছে মর্মে ভুয়া টেন্ডারের কাগজপত্র দেখিয়ে ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের কাঠালতলা বাজার এলাকা থেকে একাধিক এস্কেভেটর দিয়ে গত এক সপ্তাহে আধা কিলোমিটার নদীর পাড়ের প্রায় ৩০ লাখ টাকার মাটি কেটে পাচার করে বিক্রি করে দেয়। সরকারি মাটি পাচারে ভুয়া কাগজ পত্র ব্যবহার করা হচ্ছেÑ এমন সংবাদ এলাকায় প্রচার হলে সোমবার দুপুরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, একাধিক ইউপি সদস্য বাজার কমিটির নেতারা ঘটনা স্থলে গিয়ে ওই মাটি পাচার কাজ বন্ধ করে দেয়। এবং নদীর পাড়ে থাকা একটি এস্কেভেটর আটক করে রাখা হয়।

মাটি পাচারকারীর মনিরামপুরের যুবলীগ নেতা পলাশ চক্রবর্তী জানান, আমি প্রতিমন্ত্রীর ভাগ্নে। ডুমুরিয়ার আটলিয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা গৌতম ঘোষ, ইব্রাহীম ও বিশ্বাজিৎ মজুমদার তারা আমাকে চেনে। তারা মাটি কাঁটার বিষয়ে সকল প্রকার সহযোগিতা করেছে। কেশবপুর পাউবোর উপ-বিভাগীয় কর্মকর্তা মুন্সী আছাদুজ্জামান বলেন, আপার ভদ্রা নদীর মাটি কোনো টেন্ডার দেয়া হয়নি। স্থানীয়দের সহযোগিতায় মাটি কাটা বন্ধ করা হয়েছে। মাটি পাচাকারিদের বিরুদ্ধে আইনের আওতায় আনার প্রকৃয়া চলছে। এজিআরডি প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্রাচার্য এমপি বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় আমাকে অনেকেই মামা বলে ডাকে সত্য। পলাশ চক্রবর্তী নামে আমার কোনো ভাগ্নে নেই। সরকারি মাটি পাচারকারীদের এলাকার মানুষ কেন আটক করলো না ? আমার নাম ভাঙিয়ে অপকর্ম করলে তাকে আইনের আওতায় আসতে হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর