× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্রতিনিধিদল আসছে শিগগিরই / চীন বাদ, ঢাকায় ট্রায়াল হবে ভারতীয় টিকার

প্রথম পাতা

মিজানুর রহমান
২০ অক্টোবর ২০২০, মঙ্গলবার

অর্থকড়ি খরচ করে কোনো ট্রায়ালে অংশ না নেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর বাংলাদেশে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে চীন উদ্ভাবিত কোভিড-১৯ টিকার ট্রায়াল। সেই প্রেক্ষাপটে আপাতত চীনকে ট্রায়াল থেকে বাদ রেখেই ভারত উদ্ভাবিত করোনা টিকা পেতে দৌড় শুরু করেছে ঢাকা। ভবিষ্যৎ রাজনীতি ও কূটনীতির প্রভাব বিবেচনায় টিকা প্রশ্নে দিল্লিও ঢাকাকে সহযোগিতার পথে অনেকটা এগিয়ে এসেছে। তারা বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ ট্রায়াল, উৎপাদন এবং বণ্টনে আগ্রহ দেখিয়েছে। এ নিয়ে গত মাসের সমাপনীতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক জেসিসিতে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন এবং দিল্লির বিদেশমন্ত্রী ড. সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্করের যৌথ নেতৃত্বাধীন ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে উভয়েই বাংলাদেশ ও ভারতের জয়েন্ট ট্রায়াল, কো- প্রোডাকশন অ্যান্ড জয়েন্ট ডিস্ট্রিবিউশনের বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত হয়েছেন। সেগুনবাগিচা বলছে, এ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনায় শিগগির দিল্লির একটি কারিগরি টিম আসছে। নবনিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছেন।
প্রতিনিধি দলটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং আইসিসিডিডিআর,বি’র সঙ্গে আলোচনার করবে। সে মতেই হাইকমিশন যোগাযোগ এবং ফলোআপ করছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে। সেগুনবাগিচা বলছে, মোটাদাগে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ডিপ্লোমেসি বা বৈশ্বিক রাজনীতির বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেখভাল করলেও বাংলাদেশে ভ্যাকসিনের ট্রায়ালসহ সহজে টিকাপ্রাপ্তি নিশ্চিতে দরকষাকষিতে সরকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে যথেষ্ট ক্ষমতা দিয়ে রেখেছে। সে কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অনেকে সরাসরি যোগাযোগ করছেন। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা দেখভালকারী বাংলাদেশি এক কূটনীতিক গতকাল মানবজমিন-এর সঙ্গে আলাপে বলেন, বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ ঠেকাতে ভ্যাকসিনে জোর দিচ্ছে দুনিয়া। বলতে গেলে অগ্রাধিকার বিবেচনায় ভ্যাকসিন উদ্ভাবন, হু’র অনুমোদনপ্রাপ্তি এবং তা উৎপাদন-বণ্টন প্রশ্নে অস্বাভাবিক প্রতিযোগিতা চলছে বিশ্বজুড়ে। যে যার মতো করে এটি পেতে অস্থির। দেশ ভেদে এর ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষিত রয়েছে। তবে এটা সবাই মানছেন যে, ফ্রি-তে কোনো ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে না। এর সঙ্গে বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা যুক্ত হয়ে গেছে। কার আগে কে ভ্যাকসিনের সফল উদ্ভাবন প্রমাণ করতে পারবে, উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে কে আগে হু’র অনুমোদন পাবে এবং কোন রাষ্ট্র কাকে, কত আগে ভ্যাকসিন দিয়ে সহায়তা করতে পারবে? তার ওপর আগামীর বিশ্ব রাজনীতিতে কার কি প্রভাব হবে তা অনেকখানি নির্ভর করছে। ওই কর্মকর্তার মতে, ভ্যাকসিন ডিপ্লোমেসিতে এখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)’-ই নিয়ামক প্লেয়ার। সংস্থাটির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিও মারাত্মক। সেখানে পশ্চিমা প্রভাবশালীরা তো বটেই, এশিয়ার দুই শক্তি চীন ও ভারতের রীতিমতো পেইড লবিস্ট রয়েছে। দেখার বিষয় হচ্ছে জেনেভার রাজনীতিতে কার কৌশল জয়ী হয়। বাংলাদেশে চীন ও ভারতের টিকার বিষয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, চীন এখন বলেছে, যে সময়ে তারা বাংলাদেশকে ট্রায়ালের প্রস্তাব দিয়েছিল সেই সময়ে বেইজিং কিছু বরাদ্দ রেখেছিল, বাংলাদেশ তা পেতো। কিন্তু ঢাকার সিদ্ধান্ত নিতে সময়ক্ষেপণের জন্য চীনের ওই বরাদ্দ অন্য দেশে চলে গেছে। এখন বাংলাদেশ ট্রায়ালে অংশ নিতে চাইলে তাতে সরকারকে অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে। ট্রায়াল না হলেও চীনের টিকা প্রাপ্তিতে কোনো অনিশ্চয়তা নেই বলে দাবি করেন ওই কর্মকর্তা। ভারতীয় টিকার ট্রায়াল বিনা খরচে হবে কি-না? এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা মানবজমিনকে বলেন, এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি। দু’দিন আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের টিকাপ্রাপ্তি নিয়ে কথা বলেছেন। ঢাকা আশা করছে বিনা খরচেই দিল্লি বাংলাদেশে টিকার ট্রায়াল করবে, যা যৌথ উৎপাদন, বণ্টন এবং পরবর্তী বাণিজ্যে পুষিয়ে নেয়া যাবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর