টাঙ্গাইলের গোপালপুরে এক কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাতে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের কাগুজিআটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীকে মঙ্গলবার ভোরে মোহনপুর যমুনা নদীর ঘাটে এসে ফেলে রেখে যায় ধর্ষকেরা। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী ওই দিন দুপুরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়। তার শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগী ওই কলেজ ছাত্রী জানান, উপজেলার কাগুজিআটা গ্রামের শফিকুল ইসলাম ও এনামুল বিভিন্ন সময় রাস্তায় যাওয়া আসার পথে তাকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো। সোমবার সন্ধ্যায় সে স্থানীয় মোহনপুর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে আগে থেকে ওতপেতে থাকা শফিকুল, এনামুল, জালাল, খালেক, আলতাব হোসেন তার মুখ বেঁধে নৌকায় তুলে যমুনা নদী তীরবর্তী শফিকুলের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে একটি ঘরে আটকে রেখে তারা ৫ জন মিলে রাতভর তাকে ধর্ষণ করে।
পরে মঙ্গলবার ভোরে নৌকাযোগে মোহনপুর নদীর ঘাটে এসে ফেলে রেখে যায়। অসুস্থ অবস্থায় সে বাড়ি ফিরে পরিবারকে বিষয়টি জানান। এরপর স্বজনরা তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন কলেজছাত্রী।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. কামরুজ্জামান বলেন, ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধর্ষণের আগে তাকে মারধর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে গোপালপুর থানা অফিসার ওসি মোশারফ হোসেন বলেন, বিষয়টি আমরা শুনেছি। ভিকটিম আমাদের কাছে আসছে। এ বিষয়ে পুলিশ তৎপর রয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পরপরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।