দেশের একমাত্র দূরশিক্ষণ ও উন্মুক্ত শিক্ষা নির্ভর উচ্চ শিক্ষার প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি)। ১৯৯২ সালে ২১ অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার্থী সংখ্যা বিবেচনায় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এসএসসি থেকে পিএইচডি পর্যন্ত শিক্ষা দানের জন্য ০৬ টি স্কুলের অধীনে ৫৬টি একাডেমিক প্রোগ্রাম রয়েছে। প্রায় ৬ লাখ শিক্ষাথর্ী এখন এখানে পাঠ সংযোগে রয়েছে। শিক্ষাদানে তথ্য প্রযুক্তির সংযোগ, ব্লেন্ডেড এডুকেশন, শিক্ষার্থীর দোরগোড়ায় সরাসরি গিয়ে পাঠসুবিধা বিস্তরণ, ভর্তির সাথে সাথে পাঠ্যপুস্তক প্রদান, ঘরে বসেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক প্রোগ্রামে ভর্তির সরাসরি সুযোগ, ব্যবসা শিক্ষা, কৃষি, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং, আইন, পাবলিক হেল্থ, এমএস ডিগ্রি বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু রয়েছে।
চাকুরীর পাশাপাশি কর্মজীবনে পেশাগত যোগ্যতা বাড়ানোর জন্য এ বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী এখানে ভর্তি নিচ্ছে। দেশ জুড়ে ১২টি আঞ্চলিক কেন্দ্রে ৮০টি উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্রে শিক্ষা সেবা দেবার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাস রয়েছে। গাজীপুরে মূল ক্যাম্পাসে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া সেন্টারটিতে একাডেমিক প্রোগ্রাম নির্মাণ করে বিটিভির মাধ্যমে ও বাংলাদেশ বেতারে প্রচারিত হয়। বাউবি এখন কার্যত একটি ভাচুর্য়াল বিশ্ববিদ্যালয়।
মানসম্মত পাঠদানে বাউবি’র মিডিয়ার মাধ্যমে দেশ সেরা শিক্ষকেরা ক্লাস নিচ্ছেন। এভাবেই শিক্ষার গুণগত উৎকর্ষতা সংরক্ষিত হচ্ছে।
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে বাউবি বর্তমান সরকারের ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার রূপকল্প বাস্তবায়ন ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্ম শতবর্ষে সোনার বাংলা সৃজনে দৃঢ় প্রত্যয় ঘোষণা করেছে। ১৫০০ শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, ২৬ হাজার সংযুক্ত শিক্ষক, স্টাডি সেন্টারের সমন্বয়কারী, ৬ লাখ শিক্ষার্থীর নিকট এক খোলা চিঠিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এ মাননান এ প্রত্যয় ঘোষণা দিয়েছেন।