× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ট্রাম্পের মন্তব্যে ভারতীয়দের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া

প্রথম পাতা

মানবজমিন ডেস্ক
২৪ অক্টোবর ২০২০, শনিবার

ভারত ও চীনের বাতাসকে নোংরা বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রাম্পের ওপর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন ভারতীয়রা। আবার অনেকেই বলছেন, সত্যি কথা বলাতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখানোও ভারতের জন্য বিব্রতকর। জো বাইডেনের সঙ্গে সর্বশেষ প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে ওই মন্তব্য করেন ট্রাম্প। এরপরেই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা।
এ খবর দিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা।
বৃহস্পতিবার বিতর্ক চলাকালীন জলবায়ু ইস্যুুতে বক্তব্য রাখছিলেন ট্রাম্প ও বাইডেন। এতে ট্রাম্প দাবি করেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নেয়া বৈশ্বিক পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অলাভজনক। এরপরই তিনি বলেন, চীনকে দেখুন, কি নোংরা দেশটা।
রাশিয়া ও ভারতের দিকে দেখুন, দেশগুলো নোংরা। তাদের বাতাসও নোংরা।
বাইডেন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মানবজাতির জন্য হুমকি। এখনি ব্যবস্থা না নিলে ১০ বছরের মধ্যে আর পরিবেশ বাঁচানোর কোনো উপায় থাকবে না। তবে ট্রাম্প ও বাইডেনের জলবায়ু নিয়ে অবস্থানকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির জন্য দুর্যোগ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
তবে ট্রাম্পের এমন বক্তব্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চটেছেন অনেকেই। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত নিউ ইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিক ওয়াজাহাত আলী টুইটারে মজা করে লিখেন- ভারতীয় ভোটারদের মন জয় করার কি অভিনব পদ্ধতি। তবে অনেক ভারতীয়ই ট্রাম্পের সঙ্গে একমত নন। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর প্রতিবাদ করার চেষ্টা করেছেন। অনেকেই ট্রাম্পকে ভারতের ভূ-প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের কথা মনে করিয়ে দিতে চেয়েছেন। কাউকে কাউকে দেখা গেছে ভারতের বিভিন্ন নগরের সুন্দর ছবি আপলোড করে প্রশ্ন তুলে দিচ্ছেন, দেখুন ট্রাম্প- ভারত কি আসলেই নোংরা? শিবসেনার নেত্রী প্রিয়াংকা চতুর্ভেদি ট্রাম্পকে আক্রমণ করে বলেন, ভারতকে নিয়ে হতাশাজনক মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। অথচ ভারত বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন রুখতে বধ্য পরিকর সেখানে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে এমন চেষ্টা থেকে বের করে এনেছেন।
দেশটির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে শুরু হয়েছে ট্রোলও। সেখানে বলা হচ্ছে, এই প্রথম ভারতীয়দের শতভাগ সত্যি সমালোচনার মুখে পড়তে হলো কিন্তু তারা এরসঙ্গে দ্বিমত করতে পারছে না। তবে অনেককেই দেখা গেছে ট্রামেপর বক্তব্যের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা করেছেন। কংগ্রেস নেতা কপিল শিবাল টুইটারে তাচ্ছিল্য করে বলেন, তাহলে এই হলো বন্ধুত্বের ফলাফল! আতিস তাসির টুইটারে নরেন্দ্র মোদিকে মেনশন করে বলেন, আমি আশা করছি যে, আপনি এ অপমানের কথা শুনেছেন। এখনো বলে যান ‘আবকি বার ট্রাম্প সরকার’।
এনডিটিভি’র সাংবাদিক শেখর গুপ্ত ভারতীয়দের উদ্দেশ্যে বলেন, ভারতীয়দের এতো ক্ষুব্ধ হওয়ার কিছুই নেই। প্রতিবছরই দূষিত বাতাসের ২০টি শহরের মধ্যে ভারতেরই ১৫টি শহর থাকে। আমরা এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে কিছু করিনি। আল-জাজিরা জানিয়েছে, দুই বছর ধরে নয়া দিল্লি বিশ্বের সবথেকে দূষিত বাতাসের নগরী। বিশ্বের সবথেকে দূষিত ৩০টি নগরীর ২১টিই ভারতের। এরপরেও ট্রাম্পের মন্তব্যে ভারতের জন্য অপমানজনক মনে করছেন ভারতীয়দের একাংশ। এর আগে করোনাভাইরাস মহামারি নিয়েও ভারতের অবস্থা নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর