রায়পুরা দশম শ্রেণির ছাত্রীর ধর্ষণের ঘটনায় অডিটরিয়ামের কেয়ারটেকার সুমনকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ আব্দুল মতিন ভূঁইয়া। গত রাত ১১টায় রায়পুরা উপজেলা শ্রীরামপুর রাজু অডিটোরিয়ামের একটি কক্ষে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল।
স্থানীয় ও ভিকটিমের পারিবারিক সূত্রে জানায়, নরসিংদী রায়পুরা উপজেলা নবীয়াবাদ গ্রামের দরিদ্র পরিবারের নুরুল হকের মেয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কোমল পানি সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে অচেতন করে ধর্ষণ করেন উপজেলার ছাত্রলীগ সভাপতি আসাদুল হক চৌধুরী শাকিল। তাদের দু’জনের মধ্যে প্রায় ৬ মাস যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। ঐদিন রাত ১০টার দিকে ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রাজু অডিটোরিয়ামে এনে প্রেমিক শাকিল তার প্রেমিকা ভিকটিমের ওপর পাশবিক নির্যাতন কালে স্থানীয় লোকজন টের পেয়ে অডিটোরিয়ামের চারদিক ঘেরাও করলে, ছাত্রলীগ নেতা শাকিল ক্ষমতার দাপটে কৌশলে ভিকটিমকে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে ভিকটিম ৯৯৯ এ কল করে অবগত করলে, রায়পুরা থানার সেকেন্ড অফিসার দেব দুলাল ভিকটিমকে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। গত ২৩শে অক্টোবর দুপুরে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আসাদুল হক চৌধুরী শাকিলসহ আরো একজনের বিরুদ্ধে ভিকটিম বাদী হয়ে রায়পুরা থানায় ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করলে ওই দিন রাতে অডিটরিয়ামের কেয়ারটেকার সুমনকে আটক করেন রায়পুরা থানার পুলিশ। পরে জেলা পরিষদ আটক কেয়ারটেকার সুমনকে বরখাস্ত করেন।।