নোয়াখালীর চাটখিলে চাচীকে ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়ন (পশ্চিম) যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি মজিবুর রহমান শরীফ এর  বিরুদ্ধে আরো একটি ধর্ষণের মামলা হয়েছে। গতকাল রাতে নোয়াখলা গ্রামের এক গৃহবধূ তার বিরুদ্ধে চাটখিল থানায় ধর্ষণের মামলা করে। মামলার এজাহারে জানা যায়, গত ১৬/১২/২০১৮ইং তারিখে মজিবুর রহমান শরীফ তার বসতঘরের জানালা দিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে গৃহবধূকে দরজা খুলতে বাধ্য করে। এরপর ঘরে ঢুকে শরীফ তাকে মারধর করে ও ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এ বিষয়ে তিনি ভয়ে মামলা করতে সাহস পাননি। চাটখিল থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার ভোর ৫টার দিকে শরীফ একই বাড়ির প্রবাসীর স্ত্রীকে দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ২ শিশু সন্তানের সামনে ওই নারীকে ধর্ষণ করে। ধর্ষিত ওই নারী শরীফের সম্পর্কে চাচী হন। এ ঘটনায় ওই নারী থানায় মামলা করলে পুলিশ বুধবার দুপুরে শরীফকে স্থানীয় ইয়াছিন হাজীর বাজার থেকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জানায়, শরীফ এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারী। তার বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ, ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ ৭টি মামলা রয়েছে। শরীফের স্বীকারোক্তি মোতাবেক পুলিশ তাকে নিয়ে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১টি বিদেশি পিস্তল, ২ রাউন্ড কার্তুজ, বিদেশি মদের বোতল, ৫টি মোবাইল সেট ও ল্যাপটপ উদ্ধার করেছে।
এদিকে বুধবার রাতে উপজেলা যুবলীগের একাংশের আহ্বায়ক ও চাটখিল পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ উল্যা পাটোয়ারী ও যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন মিল্টন স্বাক্ষরিত এক পত্রে অভিযুক্ত মজিবুর রহমান শরীফকে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতির পদ থেকে বহিষ্কার করেছে। বর্তমানে শরীফ ৪ দিনের পুলিশ রিমান্ডে রয়েছে।
চাটখিলে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
এদিকে, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার শাহাপুর ইউনিয়নের পূর্ব করটখিল গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে মিরাজ হোসেন (১৭) একই বাড়ির ৯ বছরের একটি শিশুকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার দুপুরে মনির হোসেন কৌশলে শিশুটিকে বাড়ির পার্শ্বের সুপারী বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। স্থানীয় প্রভাবশালীরা বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করায় মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে বলে ধর্ষিতার মা জানান। এ ব্যাপারে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে গতকাল রাতে থানায় মামলা করেছে। চাটখিল থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামি মিরাজকে ধরতে জোর চেষ্টা চলছে।