× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

করোনার ধাক্কায় চিড়েচ্যাপ্টা বিমান সংস্থাগুলো /ফ্লাইটে একজন মাত্র যাত্রী!

শেষের পাতা

মিজানুর রহমান
২৫ অক্টোবর ২০২০, রবিবার

বৈশ্বিক মহামারি করোনার ধাক্কা সামলে উঠতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে বিমান সংস্থাগুলো। ঢাকায় যাত্রীর অভাবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিলের ঘটনা ঘটছে হরহামেশা। তবে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পছন্দের ফ্লাইট ও আসন না পাওয়ার অভিযোগও আছে। কিন্তু একজন মাত্র যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে বাংলাদেশ বিমানের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ছেড়ে যাওয়ার ঘটনা কার্যত বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে। অবশ্য ফিরতি ফ্লাইটে শতাধিক যাত্রী থাকার বিষয়টি বিবেচনায় ছিল দায়িত্বশীল কর্তাদের। সূত্র বলছে, অপশন ছিল ফ্লাইট বাতিলের, কিন্তু ফিরতি ফ্লাইটে আগাম টিকিট কনফার্ম করা ১১২ জন যাত্রীর অসুবিধার কথা চিন্তা করে শেষ পর্যন্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ একজন যাত্রী নিয়েই ২০শে অক্টোবরের মালয়েশিয়াগামী ফ্লাইটটি পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়। বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ দিয়ে পরিচালিত সান্ধ্যকালীন ওই ফ্লাইটে ১৬২টি আসন ছিল। যার মধ্যে ১৫০টি ইকোনমি, বাকিটা বিজনেস ক্লাস।
সিভিল এভিয়েশন এবং বিমান সূত্র জানিয়েছে, একজন যাত্রী নিয়ে বিমানের ফ্লাইট পরিচালনার ঘটনা নতুন হলেও ঢাকা থেকে কোনো আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ছেড়ে যাওয়ার ঘটনা এটি প্রথম নয়। অতি সম্প্রতি ঢাকা-কুয়ালালামপুর রুটেই সেই রেকর্ডটি হয়েছে। গত ১লা সেপ্টেম্বর বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলার মালয়েশিয়াগামী ফ্লাইটটি একজন যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছেড়ে যায়। ফিরতি ফ্লাইটে অবশ্য তাদের বেশকিছু যাত্রী ছিল। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাবলিক রিলেশন্স ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার তাহেরা খন্দকার গণমাধ্যমকে বলেন, মালয়েশিয়াগামী ২০শে অক্টোবরের ফ্লাইটের (বিজি ০৮৬) একমাত্র যাত্রী সোনা মিয়ার বাড়ি টাঙ্গাইলে। তিনি মূলত ট্রানজিট প্যাসেঞ্জার ছিলেন। মালয়েশিয়া হয়ে ব্রুনাই যাচ্ছিলেন তিনি। করোনার ভয়াবহতায় দীর্ঘ সময় বিভিন্ন রুটে ফ্লাইট বন্ধ ছিল। গত ১৮ই আগস্ট থেকে সপ্তাহে দু’দিন কুয়ালালামপুর রুটে বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিমান। যাত্রীদের সেবাই বিমানের মুখ্য চাওয়া বলে মন্তব্য করেন তিনি। করোনার আগে ঢাকা থেকে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স ওই রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করতো। যাত্রীও ছিল পর্যাপ্ত। কিন্তু বাংলাদেশি পর্যটক ও কর্মীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকায় এখন কুয়ালালামপুর গামী যাত্রী প্রায় শূন্যের কোটায়। তবে ট্রানজিট এবং ফিরতি ফ্লাইটে যাত্রী পাওয়ার আশায় অনেকে ফ্লাইট চালিয়ে যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে ইউএস বাংলার জেনারেল ম্যানেজার (পাবলিক রিলেশন্স) কামরুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রীর অভাব খুবই অপ্রত্যাশিত ঘটনা। কিন্তু কী করার আছে? বাধ্য হয়ে এক-দু’জন যাত্রী নিয়েও আমাদের ফ্লাইট চালু রাখতে হচ্ছে। ১লা সেপ্টেম্বরে একজন যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছেড়ে যাওয়া কুয়ালালামপুর গামী ফ্লাইট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাণিজ্যিক ক্ষতির পরও যাত্রীর সুবিধা বিবেচনায় সেদিন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে আমরা বিএস-৩১৩ ফ্লাইট চালিয়েছি। ওই ফ্লাইটে একমাত্র যাত্রী ছিলেন ঢাকার রাফসান জানি। ১৬ই আগস্ট থেকে ওই রুটে তাদের ফ্লাইট চলছে বলেও জানান তিনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর