× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

৪টি মানবাধিকার সংগঠনের বিবৃতি /অধিকার কর্মী ও তাদের পরিবারকে হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শন বন্ধ করুন

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) অক্টোবর ২৫, ২০২০, রবিবার, ১২:৪৮ অপরাহ্ন

আইন প্রয়োগকারী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর হাতে অধিকারকর্মী, মানবাধিকার কর্মী ও তাদের পরিবারকে চলমান হয়রানি ও হুমকি বন্ধ করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক চারটি গ্রুপ। গ্রুপগুলো হলো-অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং রবার্ট এফ. কেনেডি হিউম্যান রাইটস। ২৪ শে অক্টোবর এক বিবৃতিতে মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে দমনপীড়নের নিন্দা জানিয়েছে সংস্থাগুলো। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে যেসব ব্যক্তি তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা চর্চা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে সরকারের হামলার নিন্দা জানায় এসব মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন। একই সঙ্গে মৌলিক অধিকার সমুন্নত রাখার যে আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা আছে, তা পুরোপুরি মানতে ব্যর্থতার জন্যও বাংলাদেশ সরকারের নিন্দা জানানো হয়। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে জীবনের নিরাপত্তার ভয়ে বাংলাদেশ থেকে পালানো অধিকারকর্মীসহ তাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে যেভাবে ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি দেয়া হচ্ছে, তাতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় বিবৃতিতে। এতে বলা হয়েছে, ভিন্নমতাবলম্বীদের কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দিতে আইন প্রয়োগকারী ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ব্যক্তিগতভাবে এসব অধিকারকর্মীর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। তারা ওইসব পরিবারের সদস্যদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছেন, যাতে তারা তাদের প্রিয়জনকে প্রকাশ্যে সরকারের সমালোচনা বন্ধ করতে বলেন।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়- কয়েক দিনে, মানবাধিকার কর্মী পিনাকি ভট্টচার্যের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত করেছে বাংলাদেশ পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য। তারা ওই পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এটা হলো অধিকারকর্মীদের বিরুদ্ধে ভীতি প্রদর্শনে সরকারের বহু বছর ধরে চালানো কর্মকা-ের সর্বশেষ ঘটনা। এ বছর জুলাইয়ে কর্তৃপক্ষ ব্লগার ও অধিকারকর্মী আসাদ নূরের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাত করে এবং তাদেরকে হুমকি দেয়। ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে সমালোচনা বন্ধ করতে তারা যেন আসাদকে চাপ দেন এ জন্য তাদেরকে হুমকি দেয়া হয়েছে।
এপ্রিলে সাংবাদিক তাসনিম খলিলের মায়ের সঙ্গে সিলেটের বাড়িতে সাক্ষাত করেন কর্মকর্তারা। তার ছেলে সাংবাদিক হিসেবে যেসব কর্মকান্ড চালাচ্ছেন, সে সম্পর্কে  জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাকে। তাসনিম খলিলের সংবাদ মাধ্যম নেত্রা নিউজ ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ব্লক করে রাখা হয়েছে বাংলাদেশে। তাসনিম খলিলের মাকে কর্মকর্তারা হুমকি দিয়েছেন এই বলে যে, যদি তারা তার বাড়িতে এরপর আবার যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে তা হবে ভিন্নরকম এবং তা মোটেও ভাল হবে না।
ওই বিবৃতিতে আরো বলা হয়, অধিকারকর্মী, সাংবাদিক ও সরকারের সমালোচনাকারী অন্যদের বিরুদ্ধে কি ভয়াবহভাবে দমনপীড়ন চলছে তা ফুটে উঠেছে এসব ঘটনায়। একই সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে হুমকি সেই গভীর উদ্বেগের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো বলছে, সরকার এসব করছে নির্যাতনমূলক আইন, যেমন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করে।
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস মহামারি শুরুর পর বেশ কিছু মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে। এমনকি করোনা ভাইরাস মহামারি নিয়ে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তোলায় জোরপূর্বক কাউকে কাউকে গুম করে দেয়া হয়েছে। এসব ঘটনা একত্রিতভাবে অধিকারকর্মী ও তাদের পরিবারের প্রতি হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। এতে তাদের মধ্যে আতঙ্কের একটি আবহ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে নাগরিক সুরক্ষার স্থানটি তাদের কাছে সংকীর্ণ হয়ে এসেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এসব হয়রানির অভিযোগগুলো নিরপেক্ষভাবে এবং পক্ষপাতিত্বহীনভাবে তদন্ত করা উচিত। একই সঙ্গে এসব কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয়েছে। আহ্বান জানানো হয়েছে, অধিকারকর্মীদের পরিবারের সদস্য ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা চর্চা করেন এমন সব ব্যক্তিকে ভীতি প্রদর্শন বন্ধ করতে ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর