× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অপহৃত কন্যাকে উদ্ধার চেয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইল থেকে
২৫ অক্টোবর ২০২০, রবিবার

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার উত্তর বিলডগা গ্রামের অপহৃত কন্যাকে উদ্ধার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবার। গতকাল বেলা ১১টার দিকে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে এ সম্মেলন করা হয়। গোপালপুরের মুক্তিযোদ্ধা সাহেব আলী খান সংবাদ সম্মেলনে জানান, তার নাতনি স্থানীয় একটি মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী রিপা আক্তার  (১৪) গত ১৬ই আগস্ট রাত সোয়া ১১টার দিকে পানি ব্যবহারের জন্য বাড়ির দক্ষিপাশে টিউবওয়েলের কাছে যায়। সে সময় একই উপজেলার চতিলা গ্রামের সাকিল হাসান, হাছিনা বেগম, শাফী উদ্দিন, মো. শফিকুল, রেহেনা বেগম ও মো. সোলায়মান তাকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার নাতনিকে উদ্ধারের জন্য এলাকার মাতাব্বরদের কাছে গেলে তারা আশ্বাস দিলেও পরবর্তীতে নানাভাবে টালবাহানা করতে থাকে। তাদের কাছ থেকে কোন সুরাহা না পেয়ে গত ২১শে আগস্ট গোপালপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ আসামি সোলায়মানকে গ্রেপ্তার করে।
সে পুলিশকে জানায়, সাকিল হাসানসহ আসামীরা রিপাকে অপহরণ করে গাজীপুরের অজ্ঞাত স্থানে রেখেছে। ঢাকার দক্ষিণখান থানার আটিপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির মোড় এলাকা থেকে হাছিনা বেগম ও শাফী উদ্দিনকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তারাও রিপাকে অপহরণের কথা স্বীকার করে। গত ১২ই অক্টোবর অপর আসামী শফিকুলকেও গ্রেপ্তার করে । তারপরও রিপাকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। রিপা আক্তারের পিতা রফিকুল ইসলাম খান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আসামিরা নানাভাবে তাকে ও তার পরিবারের লোকজনকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। তারা যে কোন সময় তার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা করতে পারে বলেও তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেন। মেয়েকে উদ্ধারের জন্য তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন। মুক্তিযোদ্ধা সাহেব আলী খান বলেন, দেড় মাস হলেও রিপার কোন সন্ধানই পাওয়া যাচ্ছে না। সে বেঁেচ আছে নাকি আসামীরা তাকে মেরে ফেলেছে তাও জানি না। আসামী গ্রেপ্তার হলেও পুলিশ এতদিনেও মেয়েকে উদ্ধার করতে পারেনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর